
লকডাউন ঘোষণার পরে শিয়ানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানে ভিড় দেখা দেয়। খাদ্যপণ্য সংগ্রহের জন্য শহরের নানা প্রান্তে শুরু হয় মারামারি। শিনহুয়া সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী শিয়ানের ১৪ টি অঞ্চলে ১২৭ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। পরিস্থিতি অত্যন্ত ‘উদ্বেগজনক ও জটিল’।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে চিনে অনুষ্ঠিত হবে উইন্টার অলিম্পিকস। এখন দেশে তার প্রস্তুতি তুঙ্গে। উইন্টার অলিম্পিকস উপলক্ষে আগামী দিনে বড় সংখ্যক অ্যাথলিট আসবেন চিনে। তার আগে ফের কোভিড সংক্রমণ যাতে না বাড়ে, সেজন্য কঠোর হচ্ছে প্রশাসন। একটি সূত্রের খবর, চিনের এখন বেশি ছড়াচ্ছে কোভিডে ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট। চিনে যাতে ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্ট না ছড়ায়, সেজন্য সতর্ক হয়েছে প্রশাসন। কারণ ওই ভ্যারিয়ান্ট ডেল্টার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি সংক্রামক। ভ্যাকসিনও ওই ভ্যারিয়ান্টকে ঠিকমতো আটকাতে পারে না।
চিনের উপ প্রধানমন্ত্রী সুন ছুলান বলেন, সংক্রমণ ঠেকাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যে কোনও বড় জমায়েতের ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যাতায়াতেও নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। শিনহুয়া নিউজ এজেন্সির খবর, বৃহস্পতিবার থেকে শিয়ান শহরের বিমান বন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
চিনের কোথাও কোভিড সংক্রমণ বাড়লে প্রশাসন এক মাসের মধ্যে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু বারে বারেই দেখা গিয়েছে করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেন। এর ফলে চাপ পড়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির ওপরে। সংক্রমণ ঠেকাতে বার বার আঞ্চলিক লকডাউনের পথে হেঁটেছে চিন। কিন্তু উহানের পরে আর কোনও বড় শহরে লকডাউন করা হয়নি।