
পরে মোদী বলেন, “আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমাদের প্রযুক্তি উন্নতমানের। আমাদের মানসিকতা ও উদ্ভাবনী ক্ষমতাও রয়েছে যথেষ্ট। আমরা বিশ্বের সামনে আশার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছি।” নির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০১৪ সালে বড় জোর ১০০ টি সংস্থা ভারতে বিনিয়োগ করতে চেয়েছিল। কিন্তু এখন ৬০ হাজার সংস্থা এদেশে বিনিয়োগ করতে চায়। তাদের মধ্যে ৮০ টি ইউনিকর্ন সংস্থা রয়েছে।” যে কোম্পানির পুঁজি ১০০ কোটি ডলারের বেশি, তাকে ইউনিকর্ন সংস্থা বলা হয়।
মোদী বলেন, ভারতে ডিজিটাল পরিকাঠামো রয়েছে। আরোগ্য সেতু এবং কো-উইনের মতো প্রকল্পগুলি এদেশে যথেষ্ট সাফল্য লাভ করেছে। ব্যবসার সুবিধার দিকে লক্ষ্য রেখে করকাঠামোর সংস্কার করা হয়েছে। বিশ্ব জুড়ে এখন রেকর্ড সংখ্যক ভারতীয় সফটওয়ার ডেভলপার কাজ করছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “আমরা সঠিক লক্ষ্যে সংস্কার শুরু করেছি। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অর্থনীতিবিদরা ভারতের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। আমাদের কাছে সারা বিশ্ব অনেক কিছু আশা করে। আমরা নিশ্চিতভাবেই সেই আশা পূরণ করতে পারব।”
এরপরে মোদী ব্যাখ্যা করেন, দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ভারত কী পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি বলেন, “ভারত এখন নির্দিষ্ট নীতি তৈরি করছে। আগামী ২৫ বছরের কথা চিন্তা করে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।”
প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী দিনে আর্থিক বিকাশ হবে পরিবেশবান্ধব। সেজন্য সরকার নির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছে। পরিবেশ দূষণ কমাতে বিশ্বের কাছে ভারত দায়বদ্ধ। নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান দিয়ে মোদী বলেন, ভারতের ছ’লক্ষ গ্রাম এখন অপটিক ফাইবারের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছে। উন্নয়নের পথে যারা চলতে ইচ্ছুক, তাদের সকলকে একই মঞ্চে আনার জন্য তৈরি হয়েছে ‘গতিশক্তি ন্যাশনাল মাস্টারপ্ল্যান’।