Latest News

‘হর ঘর তেরঙা’, জাতীয় পতাকার মর্যাদা রক্ষায় যা খেয়াল রাখা জরুরি

দ্য ওয়াল ব্যুরো: স্বাধীনতার (Independence) ৭৫তম পূর্তি উদযাপন শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী (PM) নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এই উপলক্ষে প্রতিটি বাড়িতে জাতীয় পতাকা (National Flag) উত্তোলনের (Hoisting) আহ্বান জানিয়েছেন। আগামীকাল ১৩ অগস্ট থেকে ১৫ অগস্ট পর্যন্ত ‘হর ঘর তেরঙা’ কর্মসূচি পালনের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবার জাতীয় পতাকার বিক্রিও সেই কারণে বেশি। কিন্তু অতীতে দেখা গিয়েছে, স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবসের মতো গুরুত্বপূর্ণ দিনে জাতীয় পতাকার প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠানে অনেকেই অজ্ঞানতাবশত কিছু ভুল করেন, যা অবমাননার সমান।

জাতীয় পতাকা কীভাবে ব্যবহার করত হবে, তা কী দিয়ে তৈরি এবং কোন মাপের হতে হবে, কীভাবে উত্তোলন করতে হবে—এই সব বিষয়ে বলা আছে ‘ফ্ল্যাগ কোড অফ ইন্ডিয়া’-তে। গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনগুলি হয় ২০০২ সালে। সর্বশেষ সংশোধন, সংযোজন হয়েছে গত মাসে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, স্বাধীনকার অমৃত মহোৎসব পালনে ঘরে ঘরে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় কী কী বিষয়ে খেয়াল রাখবেন।

  • ফ্ল্যাগ কোড অফ ইন্ডিয়ার ২০০২-এর পার্ট টু-এর অনুচ্ছেদ ২.২-এর ধারা অনুযায়ী জাতীয় পতাকা এখন বাড়িতে খোলা জায়গায় ২৪ ঘণ্টা ওড়ানো যেতে পারে। আগে শুধু সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত তেরঙা উত্তোলনের অনুমতি ছিল। তবে যদি পতাকাটি কোনও সরকারি/বেসরকারি পাবলিক ভবনে ওড়ানো হয়, তবে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ওড়ানোই বাঞ্ছনীয়।
  • সাধারণ নাগরিকেরাও এখন বাড়িতে বা ব্যক্তিগত অফিস বাড়িতে প্রত্যেক দিন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারেন। আগে সাধারণ নাগরিকেরা শুধুমাত্র স্বাধীনতা দিবস ও প্রজাতন্ত্র দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে পারতেন। গত মাসের ২০ জুলাই জাতীয় পতাকা কোড বা বিধির সর্বশেষ সংশোধনীর সুবাদে নাগরিকদের এই সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
  • পতাকা কোডের আর একটি সংশোধিত বিধান হল, জাতীয় পতাকা হাতে কাটা এবং হাতে বোনা বা মেশিনে তৈরি করা হতে হবে। এটি তুলা/পলিয়েস্টার/উল/রেশম খাদির তৈরি হতে হবে। আগে মেশিনে ও পলিয়েস্টারের তৈরি জাতীয় পতাকা ব্যবহারের অনুমতি ছিল না। এই নিয়মের পরিবর্তন হয়েছে ২০০২ সালে।
  • পতাকার আকৃতি হতে হবে আয়তাকার। দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থের অনুপাত ৩:২ হতে হবে।
  • পতাকা কখনও জলে ডোবানো যাবে না। দুর্ঘটনাবশত ছাড়া অন্য কোনওভাবে পতাকার কোনও অংশের ক্ষতি বা বিকৃতি ঘটানো হলে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, বা জরিমানা বা উভয় দণ্ডই হতে পারে।
  • কাউকে অভিবাদন জানাতে কখনও জাতীয় পতাকা নামানো যাবে না। জাতীয় পতাকা দিয়ে পোশাক তৈরি, তা গায়ে জড়ানো যাবে না। কোনও কিছুর ঢাকনা, ফেস্টুন হিসাবেও জাতীয় পতাকার ব্যবহার অনুচিত।
  • সশস্ত্র বাহিনীর নিহত সদস্য-সহ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অন্ত্যেষ্টির জন্য বিবেচিত ব্যক্তি বাদে অন্য কোনও মৃতের দেহের উপর জাতীয় পতাকা ব্যবহার নিষিদ্ধ।
  • সাধারণ মানুষ বাড়িতে সারা বছর জাতীয় পতাকা ওড়াতে পারলেও গাড়িতে পারবেন না। রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপাল, ভারতের প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি, হাইকোর্টের বিচারক, ভারতীয় মিশনের প্রধান, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রী, রাষ্ট্রমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, লোকসভার স্পিকার, রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান, লোকসভার ডেপুটি স্পিকার, রাজ্য আইন পরিষদের চেয়ারম্যান, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার প্রমুখই শুধু সরকারি কাজে ব্যবহৃত গাড়িতে জাতীয় পতাকা ব্যবহার করতে পারবেন।
  • পতাকা উত্তোলন সর্বদা দ্রুত হতে হবে। নামাতে হবে ধীরে ধীরে।

ইডি পার্টি কেন, সম্পত্তি মামলায় হাইকোর্টে আপিল ববি-জ্যোতিপ্রিয়-অরূপের

You might also like