
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ন’বছরের শিশুর মাথা কেটে খুন করার অভিযোগ উঠল তারই দাদা ও কাকার বিরুদ্ধে! পুলিশ জানিয়েছে, ওড়িশার বোলাঙ্গির জেলায় ১৩ অক্টোবর এই ঘটনা ঘটেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত দাদা ও কাকাকে। সূত্রের খবর, কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে ওই শিশুকে ‘বলি’ দেওয়া হয়েছে! রবিবার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরেই চমকে উঠেছেন সকলে।
ঘটনাটি ঘটার পাঁচ দিন পরে ঘনশ্যাম রাণা নামের ওই শিশুর মাথাহীন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নদীর ধারে বালিতে পোঁতা ছিল দেহটি। তারও কিছু দূরে জঙ্গলের মধ্যে পড়ে ছিল কাটা মাথা। পুলিশ মৃতের ভাই এবং কাকাকে গ্রেফতার করেছে। ১৩ তারিখ থেকেই নিখোঁজ ছিল ঘনশ্যাম। পরের দিন অর্থাৎ ১৪ অক্টোবর তিতলাগড় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তার পরিবারের সদস্যরা। তদন্তে নেমে পুলিশের সন্দেহ হয় কাকা কুঞ্জ রাণা এবং দাদা শোভবন রাণার উপর।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে কুসংস্কার খুব বেশি। নিখোঁজ ডায়েরির পাঁচ দিন পর শিশুর মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধারের পরে প্রথমেই পুলিশের সন্দেহ হয়, কুসংস্কারবশত ওই নাবালককে খুন করা হতে পারে। কথায় অসঙ্গতি থাকায় কাকা এবং দাদার উপর সন্দেহ হয় পুলিশের। গ্রেফতার করে জেরা করতেই তারা খুনের কথা স্বীকার করে নেয়। জানায়, নিজেদের মনোস্কামনা পূরণের জন্যই নাকি মা দুর্গার সামনে তারা ওই নাবালকের ‘বলি’ দিয়েছিল। খুনের ছুরিটাও উদ্ধার করেছে পুলিশ।