
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একেই দেশজুড়ে দিন দিন আঁচ ছড়াচ্ছে করোনা। এবার তার দোসর হতে চলেছে সাইক্লোন। দিল্লির মৌসম ভবন জানিয়েছে, আগামী ১৬ মে তামিলনাড়ু, কেরল ও কর্ণাটকে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে চলেছে।
এর পাশাপাশি লাক্ষাদ্বীপ সহ দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে আগামী কয়েকদিন মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, চলতি মরশুমে এই প্রথম আরব সাগরের বুকে কোনও সাইক্লোন সৃষ্টি হতে চলেছে। সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখা হয়েছে ‘তাউকতাই’।
গতকাল জারি করা বিবৃতিতে আইএমডি জানিয়েছে, ‘আগামী শুক্রবার সকাল থেকেই দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরে গভীর নিম্নচাপ দানা বাঁধতে পারে। তারপর সেটা লাক্ষাদ্বীপ লাগোয়া উপকূল ধরে ধীরে ধীরে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে সরে যেতে থাকবে। যার ফলে চলতি সপ্তাহে রবিবার নাগাদ সংলগ্ন রাজ্যগুলিতে ঘূর্ণিঝড় দেখা দেবে।’
এই সময় সামুদ্রিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট উপকূলীয় অঞ্চলগুলিতে কড়া সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। বৃহস্পতিবার থেকেই মৎস্যজীবীদের সাগরে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাঁরা বাইরে গেছেন, তাঁদেরও পরশুর মধ্যে ফিরে আসতে বলা হয়েছে।
মৌসম ভবনের অনুমান, লাক্ষাদ্বীপের বেশিরভাগ জায়গায় আগামীকাল থেকে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হবে৷ ১৪ মে থেকে তা অতিভারী বর্ষণের চেহারা নেবে৷ এ ছাড়া সেদিনই নিরক্ষীয় ভারত মহাসাগরে ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। পরদিন, অর্থাৎ, ১৫ মে যা বেগ বাড়িয়ে ৬০-৭০ কিলোমিটার হবে৷ অন্যদিকে পূর্ব-মধ্য আরব সাগর, দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগর সহ লাক্ষাদ্বীপ অঞ্চলে ১৬ মে বাতাসের বেগ প্রতি ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সাধারণত এপ্রিল ও মে মাসে উত্তর ভারত মহাসাগরের উপর এক বা একাধিক ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়। এবার প্রাক-বর্ষা মরশুমে কোনও সাইক্লোন সৃষ্টি হয়নি। তবে গত মাসে দক্ষিণ আন্দামান সাগরের বুকে একটি নিম্নচাপ দানা বেঁধেছিল। এরপর আরব সাগর বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড় দেখা যাবে বলে টুইট করেন পুনের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ট্রপিকাল মেটিরিওলজি বা আইআইটিএমের জলবায়ু বিজ্ঞানী রক্সি ম্যাথু।