
ভারতের অন্যতম বিশ্বস্ত ও পরিচিত জুয়েলারি ব্র্যান্ড তানিষ্ক নিয়ে এল এক নতুন চমকপ্রদ উদ্যোগ, ‘দ্য রিভা ব্রাইডস অফ বেঙ্গল’ (The Rivaah brides of Bengal)। এটি আদতে একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা, যাতে অংশগ্রহণকারী সেরা ১০ জনের মাথায় উঠল আগামী দিনের তানিষ্ক মডেলের তাজ। বাংলায় তানিষ্ক ব্র্যান্ডিংয়ের সেরার সেরা মুখ হলেন তাঁরা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে হাজির ছিলেন সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। র্যাম্পে প্রতিযোগীদের সঙ্গে পায়ে পা মেলালেন তিনিও।
গত ১২ ডিসেম্বর হয়ে গেল গ্র্যান্ড ফিনালে। ২০-৪০ বছর বয়সী মহিলারা অংশ নিয়েছিলেন সেই প্রতিযোগিতায়। অডিশন পর্বের পর শ্রীরামপুর, বহরমপুর, মেদিনীপুর, আসানসোল, মালদা, কোচবিহার, শিলিগুড়ি এবং কলকাতার ১০০ জন ফাইনালিস্টকে বাছাই করা হয়েছিল গ্র্যান্ড ফিনালের জন্য। নির্বাচিত অংশগ্রহণকারীরা প্রত্যেকেই ব়্যাম্পে হাঁটলেন এদিন। ছিল এক্সক্লুসিভ ব্রাইডাল ফটোশ্যুট এবং প্রশ্নোত্তর পর্বও। সবার শেষে জুরিরা বেছে নিলেন সেরার সেরা দশ সুন্দরীকে। এই ১০ জন বিজয়ী বাংলায় তানিষ্কের মুখ হয়ে উঠবে এবং এক বছরের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া, আউটডোর এবং ব্যানার জুড়ে ব্যবহার করা হবে তাঁদের ছবি।
ব্রাইডাল গয়নার জগতে এক উজ্জ্বল সংযোজন ‘তানিষ্ক রিভা’। নিখুঁত দক্ষতায় পুরোনো বাঙালি গয়নার নকশার সঙ্গে আধুনিকতার মেলবন্ধন ঘটিয়েছে এই ‘রিভা’ কালেকশন, এই প্রজন্মের রুচি আর পছন্দের সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছে ঐতিহ্যকে। গ্র্যান্ড ফিনালের মঞ্চে সেই ‘তানিষ্ক রিভা’ কালেকশনের গয়নাতেই সেজে উঠেছিলেন প্রতিযোগীরা। এদিন বাঙালির চেনা গয়না সীতাহার, রানীহার, চুর, বালা, চুড়ি, কানবালি, ঝুমকো আর শাঁখা পলায় বাঙালি বিয়ের নস্টালজিয়াকেই যেন ফিরিয়ে আনা হয়েছিল আরেকবার।
এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তানিষ্কের রিজিওনাল বিজনেস ম্যানেজার অলোকরঞ্জন জানালেন, শুধু গয়না বিক্রিই নয়, গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলাই এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য। বাঙালি কনেদের কাছে তাঁদের বিয়ের মুহূর্তকে আরও উজ্জ্বল করে তুলতে এমন একাধিক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁরা, আগামীতেও নেবেন। তিনি বলেন, ‘আমরা অনুভব করি যে আমাদের গ্রাহকরাই আমাদের আসল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর এবং বাংলায় তানিষ্কের মুখ হিসেবে সত্যিকারের রিভা ব্রাইডদের পেয়ে আমরা সৌভাগ্যবান হব।”
দ্য ওয়াল ব্যুরো: 

