
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ১৮৩২ পাতার তালিকা। নাম রয়েছে প্রায় এক লক্ষ ২৫ হাজার পরীক্ষার্থীর। আর সেই তালিকায় এমন কিছু নাম রয়েছে যা নিয়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে টেট (TET) চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে। এমনকি বিষয়টি নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণও করা হয়েছে।
গত ১১ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ২০১৪-র চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে। সেখানে নাম রয়েছে ‘মমতা ব্যানার্জি’র (Mamata Banerjee)। ওই তালিকা অনুযায়ী ‘শুভেন্দু অধিকারী’ (suvendu Adhikari) পেয়েছেন ১০০ নম্বর। এক নম্বর কম পেয়েছেন ‘সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)।’
শুধু কি তাই?
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম রয়েছে। নাম রয়েছে দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদারের। এমনকি যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর তাঁর বান্ধবী শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জেলে রয়েছেন প্রায় চার মাস ধরে, তাঁদেরও নাম রয়েছে আচার্য ভবনের তালিকায়।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে এঁরা কারা?
এই নামে কি পরীক্ষার্থী ছিলেন? নাকি ফের টেটের তালিকায় ভুল হয়েছে? এই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্যই আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। এই নেতা-নেত্রীদের নামে অন্য কেউও থাকতে পারেন। সেটা অসম্ভব নয়। তবে কাকতালীয়ভাবেই গোটাটা মিলে গিয়েছে নাকি ডেটা এন্ট্রিতে বদমায়েশি হয়েছে তা নিয়ে টেট প্রার্থীদের মধ্যেও বিভ্রান্তি রয়েছে।
‘আরও দুর্নীতির ইঙ্গিত, সিবিআইয়ের আর কত সময় লাগবে,’ ফের প্রশ্ন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
এ ব্যাপারে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ‘একই নামে অনেকেই থাকতে পারেন। আমার নামের সঙ্গে কোনও পরীক্ষার্থীর নামের মিল থাকতেই পারে। কিন্তু এখানে যেভাবে সবটা ভূতে করে তেমন কিছু হয়েছে কিনা দেখা দরকার।’
নামের মিল নিয়ে রাজনীতিতেও অনেক মজার ঘটনা রয়েছে। যেমন নয়ের দশকের শেষে হুগলির বৈদ্যবাটিতে একটি জনসভা করতে গিয়েছিলেন জ্যোতি বসু। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীকে জনসভার পরে একটি বাড়িতে চা খাওয়াতে নিয়ে গিয়েছিল স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব। সেই বাড়িটি ছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীর। তাঁর নাম সুখেন্দু বসু। কিন্তু তাঁর স্ত্রীর নাম ছিল ডলি বসু আর ছেলের নাম ছিল চন্দন বসু। শোনা যায়, জ্যোতিবাবু নাকি মজা করে বলেছিলেন, ‘মনে হচ্ছে নিজের বাড়িতেই চা খাচ্ছি।’
টেটের এই তালিকা তেমনই কিনা সেটাই এখন দেখার।