
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের অবস্থা দিনদিন হতশ্রী হচ্ছে। ১৩টি ম্যাচ খেলে একটিমাত্র জয়। শেষ ম্যাচে হায়দরাবাদের কাছে চার গোল হজম করেছে লাল হলুদ জার্সিধারীরা।
দলের এমন শোচনীয় অবস্থার মধ্যেও ক্লাব মাঠের নতুন ডাগআউটের সূচনা হল এদিন প্রাক্তন নামী ফুটবলারদের উপস্থিতিতে। প্রায় দীর্ঘ পাঁচ দশক ধরে যে রিজার্ভ বেঞ্চ ছিল, সেটি সরিয়ে আধুনিকমানের নয়া লাল হলুদ সিটের ডাগআউট বসানো হয়েছে।
প্রাক্তন ফুটবলারদের মধ্যে মঙ্গলবার দুপুরে হাজির ছিলেন নামী তারকারা। সেই তালিকায় ছিলেন প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, বিকাশ পাঁজি, সুমিত মুখোপাধ্যায়, মিহির বসু, কৃষ্ণেন্দু রায়, অলোক মুখোপাধ্যায়, আলভিটো ডি’কুনহা, চন্দন দাস, রহিম নবি। এছাড়াও ছিলেন ক্লাবের কর্মসমিতির সদস্য শ্যাম জুয়েলার্স অ্যান্ড কোম্পানির কর্ণধার রূপক সাহা।
ইস্টবেঙ্গল মাঠে প্রাক্তন তারকারা, রয়েছেন প্রশান্ত, ভাস্কর, মিহির, বিকাশ, নবি, আলভিটো, অলোক, সুমিত, চন্দন, কৃষ্ণেন্দুরা।
এই মুহূর্তে ময়দান থেকে খেলা হারিয়ে গিয়েছে। করোনার গ্রাসে কারোর মন ভাল নেই। সব থেকে বড় কথা, দু’দিন আগেই করোনায় প্রাণ গিয়েছে লাল হলুদের প্রাক্তন তারকা সুভাষ ভৌমিকের। বর্তমানে আরও এক লাল হলুদের কৃতি সন্তান সুরজিৎ সেনগুপ্ত হাসপাতালে সঙ্কটের মধ্যেই রয়েছে।
তার মধ্যে একঝলক টাটকা বাতাস বয়ে এনেছে আজকের এই পরিবেশ। প্রাক্তন ফুটবলাররা সবাই আনন্দ করেছেন এদিনের প্রিয় মাঠে এসে। ইস্টবেঙ্গল মাঠকে আবারও ঢেলে সাজানো হচ্ছে। নতুন করে পরিচর্যা করা হচ্ছে সবকিছুই।
দল হারছে অথচ ক্লাব মাঠে এই আনন্দ কিসের জন্য, এই প্রশ্ন উঠলেও লাল হলুদের প্রাক্তন অধিনায়ক ময়দানের নামী তারকা প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সন্ধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের ফুটবলারদের উপস্থিতির সঙ্গে আইএসএলের দলের হারের প্রসঙ্গ আসছে কোথা থেকে! এটি তো ১১ জনের বিশেষ ফুটবলারদের কমিটি, যারা সদস্য তাঁরাই এদিন মাঠে এসেছিলেন। আমরা দলের ভাল-মন্দের সঙ্গে জড়িত আছি, থাকবও। এর মধ্যে অন্য কোনও বিষয় না জড়ানোই ভাল।’’