Latest News

নিয়ম মেনেই চাকরি, দাবি টুম্পারানির দিদির, আত্মীয় বলছেন অন্য কথা

দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব মেদিনীপুর: সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া অযোগ্য শিক্ষকের তালিকা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন টুম্পারানি মণ্ডলের পরিবার (Teacher Suicide After SSC List)। রবিবার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় দেবীপুর মিলন বিদ্যাপীঠের বাংলার শিক্ষিকা টুম্পারানি মণ্ডলের। চণ্ডীপুরের (Chandipur) বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে প্রাথমিক অনুমান। টুম্পার শোকস্তব্ধ স্বামী ও দিদির দাবি, ‘অযোগ্য’ শিক্ষকদের যে তালিকায় টুম্পাদেবীর নাম ছিল সেটির সত্যতা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।

তাঁদের অভিযোগ, স্কুলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে কোনও এক শিক্ষক এই তালিকা পোস্ট করেছিলেন। সেই তালিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। তাতেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন টুম্পা। পরিবারের কাছে তিনি বারবার জানিয়েছিলেন, এই ঘটনা তাঁর আত্মমর্যাদাকে আঘাত করেছে। তিনি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও তাঁর সহকর্মীদের কাছে মুখ দেখাবেন কী করে, সেই চিন্তায় তাঁকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছিল। পরিবারের লোকজনও তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারেননি।

কুয়োয় ভেসে উঠল শিশুর বস্তাবন্দি মৃতদেহ! জলপাইগুড়ি শহরে ছড়াল চাঞ্চল্য

টুম্পার স্বামীর দাবি, তিনি ব্যবসার কাজে বাইরে গিয়েছিলেন। টুম্পা বাড়িতে একাই ছিলেন। এরপরেই তিনি খবর পান, টুম্পা আত্মঘাতী হয়েছে। ওই শিক্ষিকার দিদির দাবি, সমস্ত নিয়ম মেনেই ২০১৯ সালে স্কুল শিক্ষিকার চাকরি পেয়েছিলেন টুম্পা। পড়াশোনাতেও মেধাবী ছিলেন।

যদিও শিক্ষিকার এক আত্মীয় জানিয়েছেন, রাজ্যে মেধাবী বেকারের সংখ্যা নেহাত কম নয়। তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে চাকরি পেতে খানিকটা বাঁকা পথ অবলম্বন করতে হয়েছিল টুম্পাকে। জমি বিক্রি করে শাসকদলের এক নেতাকে তিনি ১৬ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। হাইকোর্টের নির্দেশে অযোগ্য শিক্ষকদের তালিকা সামনে আসতেই ভেঙে পড়েন টুম্পারানি। প্রায় চার বছরের বেতন ফেরত দিতে হতে পারে, ভেবে আরও অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন।

You might also like