
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পশ্চিম মেদিনীপুর: নামেই হাইস্কুল। অথচ স্কুল চলছে একজন শিক্ষকের ভরসায় (Teacher Crisis In School)। পড়ুয়াদের ক্লাস নেওয়া থেকে মিডডে মিলের কাজ সমস্ত দায়িত্ব একাই সামলান ওই শিক্ষক। একবছর ধরে এভাবেই চলছে সবংয়ের (Sabang) মানিকড়া জুনিয়র হাইস্কুল।
স্কুলে শিক্ষা পরিকাঠামো করুণ দশা দেখে ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন অভিভাবকরা। অনেকেই তাই এই স্কুল থেকে ছেলে-মেয়েদের ছাড়িয়ে নিয়ে অন্যত্র ভর্তি করছেন।
২০১০ সালে সবং ব্লকের মানিকড়া এলাকার ছেলে-মেয়েদের জন্য তৈরি হয় এই স্কুল। মিড ডে মিলের ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে। প্রথমদিকে মোট চারজন শিক্ষক ছিলেন। তাদের মধ্যে তিনজন বদলি হয়ে চলে গেছেন। সেই থেকে সমস্ত দায়িত্ব একাই সামলাচ্ছেন শিক্ষক সন্দীপ পতি। এই মুহূর্তে স্কুলে ৮০ জন পড়ুয়া রয়েছে। শিক্ষক না থাকায় পড়াশোনা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের। ছেলে-মেয়েদের অসুবিধার কথা ভেবেই আপাতত গ্রামবাসীরা চাঁদা তুলে একজন গেস্ট টিচার রেখেছেন।
ঘৃণার রাজনীতির বিরোধিতা, সংবিধান বাঁচানোর সংকল্পে সামিল কলকাতা
অভিভাবকদের অভিযোগ, পঞ্চম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন হয় এই স্কুলে। তার জন্য সরকারে উচিত বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ করা। তাহলেই স্কুলের পড়াশোনার মান বজায় থাকবে। এত কিছু জেনেও জেলা শিক্ষা দফতরের ভ্রুক্ষেপ নেই। তাহলে কী আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যাবে স্কুল?
শিক্ষক সন্দীপ পতি জানিয়েছেন, তিনিও বিষয়টি শিক্ষা দফতরের কাছে জানিয়েছেন। তিনিও চান দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হোক। স্কুলকে বাঁচাতে শিক্ষক নিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে।