Latest News

স্বাধীনতার আগেই ব্রিটিশ বিরোধী সরকার গড়েছিল বাংলার এই এলাকা, উদযাপন হয় ১৭ ডিসেম্বর

দ্য ওয়াল ব্যুরো: দেশের স্বাধীনতার বিদ্রোহ, প্রতিবাদ আর আন্দোলনের অন্যতম পীঠস্থান তমলুক (Tamluk)। ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে প্রস্তুত দেশ। কিন্তু ১৯৪২ সালেই পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক ব্রিটিশ বিরোধী সরকার গঠন করে নিজেদের স্বাধীন ঘোষণা করেছিল। তমলুকের পাশাপাশি ‘ভারতীয় ইউনাইটেড স্টেটস ইন্ডিপেনডেন্ট গভর্নমেন্ট’ (Indian United State Independent Government) নামে ওই স্বাধীন সরকার গঠন করেছিল মহারাষ্ট্রের সাতারা, উত্তর প্রদেশের বালিয়াও।

অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার তমলুক মহকুমা ১৭ ডিসেম্বর ১৯৪২ সালে তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার গঠন করে। ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত প্রায় দু’বছর ওই সরকার ছিল। মহাত্মা গান্ধীর পরামর্শের পর ওই সরকার ভেঙে যায়।

সতীশচন্দ্র সামন্ত ১৯৪২ সালে ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের প্রথম সর্বোচ্চ নেতা ছিলেন। অবিভক্ত মেদিনীপুরের ভূমি বরাবরই স্বাধীনতা আন্দোলনের জায়গা। ভারত ছাড়ো আন্দোলনের শিখা মেদিনীপুর জুড়ে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে, সাধারণ মানুষ আন্দোলনে যোগ দেয় এবং তমলুক মহকুমার কংগ্রেস নেতারা ব্রিটিশ থানাগুলি দখল করার সিদ্ধান্ত নেন। অনেকে শহীদ হন। এই আন্দোলনে ছিলেন মাতঙ্গিনী হাজরার মতো স্বাধীনতা সংগ্রামী।

Image - স্বাধীনতার আগেই ব্রিটিশ বিরোধী সরকার গড়েছিল বাংলার এই এলাকা, উদযাপন হয় ১৭ ডিসেম্বর

অন্যদিকে, তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের আগে টানা তিন মাস ‘মহাভারতীয় যুক্তরাষ্ট্র’ সিলমোহর দিয়ে সেই জাতীয় সরকার দ্বারা স্বাধীনভাবে পরিচালিত হয়েছিল খেজুরি। স্বাধীনতা আন্দোলনে খেজুরিতে ক্ষুদিরাম বসু, জাতির জনক মহাত্মা গাঁধী, সুভাষচন্দ্র বসুর খেজুরিতে আগমন ছাড়াও স্বাধীনতা আন্দোলনকে প্রসারিত করতে খেজুরিতে এসেছিলেন প্রফুল্লচন্দ্র রায়, চারণকবি মুকুন্দ দাস।

এলাকার লোকজন জানাচ্ছেন, ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা দিবস পালিত হলেও এখনও বিশেষ অনুষ্ঠান হয় ১৭ ডিসেম্বর। বিভিন্ন সৌধে মাল্যদান, প্রভাতফেরি, ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মেতে ওঠে।

লাগবে শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট, তরুণীর মৃত্যুর পর সিদ্ধান্ত শহরের একাধিক জিমের

You might also like