Latest News

আমাদের সঙ্গে ভ্যালেন্টাইন্স ডে কাটান, উপহার রয়েছে আপনার জন্য! শাহিনবাগ থেকে নিমন্ত্রণ মোদীকে

শাহিনবাগ আন্দোলন নিয়ে যতই নেতিবাচক প্রচার চালানো হোক না কেন, আন্দোলনকারীরা ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র দিন তাঁদের রসবোধের পরিচয় দিলেন এভাবেই।

দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভালবাসার চেয়ে বড় বিদ্রোহ নাকি আর হয় না! সাহিত্যে এমনটাই বলা আছে। সেই কথাটাই যেন বাস্তবে প্রয়োগ করতে চাইছেন বিদ্রোহীরা। তাই ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানালেন শাহিনবাগের আন্দোলনকারীরা। শুধু মুখে বলে নয়, মোদীকে ডেকে রীতিমতো পোস্টার লিখে ফেলেছেন তাঁরা। জানিয়েছেন, আজকের দিনে মোদী তাঁদের কাছে এলে তাঁরা কিছু উপহার দেবেন মোদীকে, কথাও বলবেন।

দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলছে দিল্লির শাহিনবাগে। দিল্লির কড়া ঠান্ডা উপেক্ষা করে ঠায় বসে থেকেছেন দিল্লির অসংখ্য মানুষ। কখনও বিক্ষোভে-স্লোগানে তোলপাড় হয়েছেন, কখনও আবার গান-বাজনা করে সময় কাটিয়েছেন। এবার তাঁদের প্রতিবাদ-মঞ্চে মোদীর নিমন্ত্রণ।

এই নিমন্ত্রণ রক্ষায় যদি মোদী সত্যিই শেষ পর্যন্ত শাহিনবাগে গিয়ে হাজির হন, তাহলে নাকি মোদীকে দিয়ে গানও গাইয়ে নেবেন আন্দোলনকারীরা। শাহিনবাগে ঝোলানো এমনই কিছু পোস্টারে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে লেখা রয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী দয়া করে শাহিনবাগে আসুন, আপনার উপহার সংগ্রহ করে আমাদের সঙ্গে কথা বলুন।”

প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে গত দু’মাস ধরেই সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে রয়েছে শাহিনবাগ। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দিল্লি নির্বাচনে এই শাহিনবাগ আন্দোলনকে কম আক্রমণ করেনি বিজেপি। বারবার শাহিনবাগের উদ্দেশ্যে হিংসাত্মক কথা প্রচার করেছেন নেতারা। কেউ বলেছেন গুলি চালানোর কথা, কেউ বা কারেন্ট দেওয়ার কথা। এক বিজেপি সমর্থকের বিরুদ্ধে গুলি চালানোরও অভিযোগ উঠেছে শাহিনবাগে।

কিন্তুপ এ সবের পরেও দিল্লিতে গো-হারা হেরেছে গেরুয়া শিবির। আর তার পরে হিংসার বদলে প্রেমের পাঠ দিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। সইদ তাসির আহমেদ নামে এক বিক্ষোভকারীর কথায়, “আজ প্রেমের দিন। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হোন বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বা অন্য কেউ। তাঁরা এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। তাঁরা যদি আমাদের বোঝাতে পারেন যে যা হচ্ছে তা সংবিধানবিরোধী নয়, তাহলে আমরা আন্দোলনে ইতি টানব। ফুলে-গানে স্বাগত জানাব তাঁদের।” ওই বিক্ষোভকারীর সাফ প্রশ্ন, এই আইন পাশ করিয়ে দেশের কী উপকার হয়েছে। দেশে মূল্যবৃদ্ধি, আর্থিক মন্দা, বেকারত্বের মতো সমস্যার সমাধানে কীভাবে সাহায্য করবে এই আইন?

শাহিনবাগ আন্দোলন নিয়ে যতই নেতিবাচক প্রচার চালানো হোক না কেন, আন্দোলনকারীরা ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র দিন তাঁদের রসবোধের পরিচয় দিলেন এভাবেই। এখন অনেকেরই প্রশ্ন, সত্যিই কি কোনও নেতা-মন্ত্রী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলবেন? নাকি অনন্তকাল ধরে চলবে এই প্রতিবাদ।

You might also like