
লস এঞ্জেলিস টাইমসের সাংবাদিক মার্কাস ইয়াম বুধবার টুইটারে কয়েকটি ছবি আপলোড করে জানিয়েছেন, অন্তত আধ ডজন নারী ও শিশু তালিবানের হামলায় আহত হয়েছে। বিমান বন্দরে ঢোকার জন্য অনেকে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। লাঠি ও চাবুক হাতে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করছে তালিবান যোদ্ধারা।
ফক্স নিউজে দেখা গিয়েছে, কাবুলের রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে তালিবান যোদ্ধারা। প্রাক্তন সরকারি কর্মীদের দেখলে গুলি চালাচ্ছে। তাখার প্রদেশে মাথা না ঢেকে রাস্তায় বেরোনর জন্য এক মহিলা তালিবানের হাতে খুন হয়েছেন।
গত জুলাই মাসে সিএনএনের রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, ফারয়াব প্রদেশে এক মহিলা তালিবানের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর নাম নাজিয়া। তিনি প্রত্যন্ত গ্রামে থাকেন। তালিবান যোদ্ধারা তাঁর বাড়িতে হানা দেয়। তাঁকে হুকুম দেয়, ১৫ জন যোদ্ধার জন্য রান্না করতে হবে। নাজিয়া বলেন, তিনি গরিব। ১৫ জনকে খাওয়ানোর মতো অর্থ তাঁর নেই। তখন জঙ্গিরা এ কে ৪৭ রাইফেলের বাঁট দিয়ে তাঁকে মারধর করে। বাড়িতে গ্রেনেড ছোড়ে।
গত সপ্তাহে রাষ্ট্রপুঞ্জ জানায়, তালিবানের হাতে ১ হাজার নিরীহ মানুষ মারা গিয়েছেন। রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটি জানায়, ১ অগাস্ট থেকে ১৫ টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৪০৪২ জন আহতের চিকিৎসা হচ্ছে।
মঙ্গলবার তালিবানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা বরাদর কাতার থেকে দেশে ফেরেন। তার পরেই তালিবান ঘোষণা করে, বিরোধীদের ক্ষমা করে দেওয়া হল। সরকারি কর্মীরা অবিলম্বে কাজে ফিরুন। যদিও কাবুলের মানুষ অত্যন্ত সতর্ক হয়ে চলাফেরা করছেন। রাস্তায় দেখা যাচ্ছে খুব কম সংখ্যক মহিলাকে। কয়েকটি দোকানও খুলেছে।
তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ বলেন, এবারের তালিবান শাসন ১৯৯৬-২০০১ সালের তুলনায় আলাদা হবে। তখন ‘অপরাধীদের’ পাথর ছুড়ে মারা হত। মহিলাদের কর্মস্থলে আসতে বারণ করা হয়েছিল।
জাবিউল্লা বলেন, “আমাদের মতাদর্শ ও বিশ্বাসের কোনও পরিবর্তন ঘটেনি। কিন্তু আমাদের অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা আগের তুলনায় অনেক পরিণত হয়েছি। সুতরাং এবারের তালিবান শাসন নিঃসন্দেহে আগের চেয়ে অনেক আলাদা হবে।”