
আগে শোনা গিয়েছিল এপ্রিলেই খুলে যাবে এই ব্রিজ (Tala Bridge)। কিন্তু বর্তমানে যা পরিস্থিতি বাকি অঢেল কাজ। যার জেরে এপ্রিলে এই ব্রিজ খোলার কোনও সম্ভাবনাই দেখতে পাচ্ছেন না ব্রিজের দায়িত্বে থাকা পিডব্লিউডি-র অফিসাররা। তাঁদের কথায়, জুনের আগে কাজ শেষ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
এই ব্রিজটির একটি বড় অংশ রেলপথের ওপর দিয়ে গেছে। সেই কাজের অবস্থা কী? ২৪০ মিটার লম্বা ব্রিজের এই অংশের কাজ এখন মধ্যগগনে। দায়িত্বে থাকা ইঞ্জিনিয়ারদের কথায়, ৪০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি অনেকটাই। দ্রুত গতিতে কাজ করলেও জুনের আগে এই কাজ শেষ করা সম্ভব নয়।
অন্যদিকে, ব্রিজের দুই প্রান্তের কাজও এখনও শুরু হয়নি। দুই প্রান্ত অর্থাৎ শ্যামবাজার ও পাইকপাড়ার দিকের কাজ বাকি বলে জানাচ্ছেন কর্মকর্তারা। শ্যামবাজারের দিক থেকে এটি ১৮০ মিটার ও পাইকপাড়ার দিক থেকে ১৯০ মিটার প্রসারিত হবে।
২০২০ সাল থেকে বন্ধ এই ব্রিজ। ফলে উত্তর কলকাতার ট্রাফিকের (Traffic) ওপর প্রভুত চাপ পড়ে। গাড়ি দুই দিক থেকে ঘুরিয়ে দিলেও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খেতে হয় ট্রাফিক পুলিশদের। ৭৫০ মিটার লম্বা এই ব্রিজটি তাই কবে শুরু হবে, সেই নিয়ে চিন্তা অনেকেরই।
এই ব্রিজটি উভয় পাশে ছয়টি পিলার ও মাঝখানে ছয়টি পিলার দিয়ে দাঁড় করানো হবে। পাশাপাশি, এই ব্রিজের তলা দিয়েই গেছে টালার পাইপ লাইন। বোরিংয়ের সময় যাতে এই পাইপ লাইনগুলোর কোনও ক্ষতি না হয় সেজন্য স্টিলের আস্তরণ দিয়ে ঢাকা হবে, সেই কাজই এখন চলছে। এই ব্রিজ তৈরির কাজের দায়িত্বে আছে লারসেন এন্ড টুব্রো ৷
(Tala Bridge) কিন্তু এই ব্রিজ তৈরিতে এত দেরি কেন হচ্ছে?
করোনার কারণে বহু কাজ আটকে গিয়েছিল বলে জানাচ্ছেন দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা। যে বিশেষ ইস্পাত আসার কথা, সেটা বিধিনিষেধের ফলে সময়ে আসতে পারেনি। ডিসেম্বরের জায়গায় সেটি এসে পৌঁছেছে ফেব্রুয়ারি মাসে। পাশাপাশি, অনেক শ্রমিকই করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়ায় কাজে প্রভাব পড়েছিল।
১৯৬২ সালে এই টালা ব্রিজ (Tala Bridge) তৈরির পর থেকেই মিটে ছিল যাতায়াতের অসুবিধা। ১৫০ টন ভার বহনের ক্ষমতা ছিল পুরোনো ব্রিজের। তবে যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় ৫০ বছর পরেই ব্রিজের অবস্থা সঙ্গীন হয়ে ওঠে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শেই এগিয়ে চলেছে নতুন টালা ব্রিজের কাজ। ৩৬৫ কোটির ব্রিজে ওঠার অপেক্ষায় শহরবাসী।
রবারের পথ, বয়স্কদের হাঁটার জন্য পৃথক রাস্তা, সাজছে হর্টিকালচার সোসাইটির বাগান