
দ্য ওয়াল ব্যুরো: খোলামেলা সবুজ মাঠে সকাল-বিকেল খেলাধুলো করে কচিকাঁচারা। বয়স্করা হাঁটতেও বেরোন। কিন্তু এক টুকরো সেই মাঠেও পড়ছে নগরের কোপ। খেলার মাঠ দখল করে মাথা তুলছে থানা (Bangladesh)। এরই প্রতিবাদ করতে গিয়ে বাংলাদেশে হেনস্থার শিকার হতে হল এক সমাজকর্মীকে। দিনভর থানায় তাঁকে আটকে রাখল পুলিশ।
সৈয়দা রত্না (Syeda Ratna) ঢাকার একজন খ্যাতিসম্পন্ন সমাজকর্মী। কলাবাগান এলাকার মাঠ দখল করে পুলিশ ভবন নির্মাণের বিরোধিতা তিনি করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরেই। এলাকার মানুষজনও এর বিরুদ্ধে। কিন্তু স্থানীয়দের আপত্তিতে কান না দিয়ে রবিবার ওই মাঠে থানার নির্মাণকার্য শুরু হয়। তার প্রতিবাদ করতে গেলে পুলিশ সৈয়দা রত্নাকে আটক করে বলে অভিযোগ। সেই সঙ্গে সৈয়দা রত্নার নাবালক ছেলেকেও আটক করা হয়, তার ‘অপরাধ’ সে মা’কে খুঁজতে বেরিয়েছিল।
অভিযোগ ওই সমাজকর্মী ও তার ছেলেকে (Syeda Ratna) ঘণ্টার পর ঘণ্টা থানায় আটকে রাখা হয় কার্যত বিনা দোষে। মাঠে পুলিশের ভবন নির্মাণ শুরু হলে ফেসবুক লাইভ করে তিনি তা সকলকে দেখাচ্ছিলেন। ১ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের সেই লাইভের মাঝেই অন্য কণ্ঠস্বর শোনা যায়, যারা এসে ধমক দিতে থাকে সৈয়দা রত্নাকে। তারপর তাঁর হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে লাইভ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ফের লকডাউনের শঙ্কা, তাড়াহুড়ো করে জিনিসপত্র কিনছেন বেজিং-এর মানুষ
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার দিনভর হয়রানির পর অবশেষে মাঝরাতে মুচলেকা দিলে থানা থেকে ছাড়া পান সৈয়দা রত্না ও তাঁর ছেলে। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাংলাদেশের রাজধানীতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এমন ঘটনা। এমনিতেই মাঠ বা খোলামেলা জায়গা দখল করে দিন দিন মাথা তুলছে সরকারি বা বেসরকারি ভবন কিংবা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। এই পরিস্থিতিতে ওপার বাংলার মানুষ পরিবেশ বাঁচাতে সচেষ্ট। কিন্তু সমাজকর্মীর প্রতি খোদ পুলিশের এই আচরণে নিন্দার ঝড় বইছে। পুলিশের অবশ্য দাবি, কলাবাগানের ওই মাঠে যে থানা তৈরি হবে তা অনেকদিন আগে থেকেই স্থির রয়েছে। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার আটক করা হয় ওই সমাজকর্মীকে।