
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিজেপির (BJP) নবান্ন অভিযান শুরুর আগেই শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikary) আলিপুর পিটিএসের সামনে থেকে গ্রেফতার (arrest) করেছিল পুলিশ (police)। বিরোধী দলনেতার সঙ্গেই মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ গ্রেফতার করা হয়েছিল লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাহুল সিনহাকে। তারপর তাঁদের লালবাজারে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে বসেই লকেট চট্টোপাধ্যায়ের পেজ থেকে ফেসবুক লাইভ (Facebook live) করে বিস্ফোরক অভিযোগ (allegation) করলেন শুভেন্দু।
পিটিএসের সামনে পুলিশের সঙ্গে শুভেন্দুর ব্যাপক তর্কাতর্কি হয়েছিল। মহিলা পুলিশকর্মীরা (Lady Police)শুভেন্দুর হাত ধরে টানতে গেলে তিনি বলে ওঠেন, ‘ইউ আর লেডি। আই অ্যাম মেল। ডোন্ট টাচ মি। ডোন্ট টাচ মাই বডি।’ লালবাজারে বসে সেই মহিলা পুলিশকর্মীদের ‘গুন্ডি’ বলে তোপ দাগলেন শুভেন্দু। সেইসঙ্গে অভিযোগ করেন, ওই পুলিশকর্মীরা রাহুল সিনহাকে (Rahul Sinha) আঁচড়ে দিয়েছেন।

এদিন শুভেন্দু বলেন, “জগিং করার পোশাক পরে কিছু মহিলা পুলিশ কর্মী ছিলেন ওখানে। পোশাক নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। সাধারণ ভাবে আমরা যাদের গুন্ডা বলি। লিঙ্গ পরিবর্তন করলে হয় গুন্ডি! তারা রাহুল সিনহাকে চোখে, হাতে আঁচড়ে দিয়েছে। বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী বা শ্বশুর-বউমা ঝগড়া হলে যেমন হয় তেমন ভাবে আঁচড়ে দিয়েছে।”
লালবাজারে বসে পুলিশ কর্তা জ্ঞানবন্ত সিংয়ের বিরুদ্ধে চোখা চোখা আক্রমণ শানান শুভেন্দু। তিনি বলেন, “জ্ঞানবন্তের অনেক রাগ রয়েছে আমার উপর। উনিই তো অশোক টোডির থেকে টাকা নিয়ে রিজওয়ানুর রহমানকে খুন করেছিলেন। কয়লা ও গরু পাচারের অন্যতম সুবিধাভোগী তিনি। ইডি অনেকবার ডেকেছিল, যাননি।”
যদিও শুভেন্দুর গ্রেফতার হওয়া নিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কটাক্ষ করে কুণাল ঘোষ বলেছেন, একেবারে আলুভাতে মার্কা নেতা। আন্দোলন করতে পারে না।
পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে দিল বিজেপি, রবীন্দ্র সরণিতে দাউদাউ আগুন