
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিধানসভার অভ্যন্তরীণ ঘটনা নিয়ে হেয়ার স্ট্রিট থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে। তা খারিজ করার আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছেন শুভেন্দু। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি বিবেক চৌধুরী রাজ্যের উদ্দেশে প্রশ্ন তুললেন, বাম আমলে (Left front Rule) বিধানসভা (Assembly) ভাঙচুরের (Vandalism) তদন্ত (Investigation) কদ্দূর? তা কী অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে?
বিধানসভার আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, “২০০৭ সালে বিধানসভায় ভাঙচুরের মামলা এখন কী অবস্থায় রয়েছে? কী পদক্ষেপ হয়েছে সেই মামলা গুলির ক্ষেত্রে?” এখানে না থেমে বিচারপতি আরও বলেন, “বাম আমলে বিধানসভার প্রাচীন স্থাপত্য, হেরিটেজ , আসবাব ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছিল। তৎকালীন বিরোধীরা এখন শাসক। সেই মামলা কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে?” এ ব্যাপারে কলকাতার পুলিশ কমিশনার জবাব তলব করেছে হাইকোর্ট।
বিজয় মালিয়া, নীরব মোদীদের তালিকায় এবার বিনয় মিশ্র! ‘আর্থিক অপরাধী’ ঘোষণার আবেদন ইডির
বাজেট অধিবেশনে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছিল বিধানসভায়। শাসকদলের অভিযোগ ছিল শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিজেওইর বিধায়করা অধিবেশন কক্ষে গুন্ডামি করেছিলেন। বিজেপির টিকিটে জিতে পরে তৃণমূলে যোগ দেওয়া কৃষ্ণ কল্যাণী, বিশ্বজিৎ দাসদের অভিযোগ ছিল, শুভেন্দু হুমকি দিয়েছেন ইনকাম ট্যাক্স পাঠানোর। তাই নিয়েই এফআইআর দায়ের হয় হেয়ারস্ট্রিট থানায়।
শুভেন্দুদের তরফে আদালতে আর্জি জানিয়ে বলা হয়, বিধানসভার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পুলিশ কেন হস্তক্ষেপ করবে? এই এফআইআর খারিজ করা হোক। সেই শুনানিতে এদিন রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ২০০৭ সালের ঘটনা যদি বিধানসভার অভ্যন্তরীণ হয়ে থাকে তাহলে এই ঘটনা কী?
২০০৭ সালে সিঙ্গুর যাওয়ার পথে বাধা দেওয়া হয় বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে বিধানসভায় চলে আসেন মমতা। তখন যদিও তিনি বিধায়ক ছিলেন না। তারপর তখনকার তৃণমূল বিধায়করা কার্যত লণ্ডভণ্ড করে দেন গোটা বিধানসভা। চেয়ার ভাঙা থেকে গোটা ঘটনায় অন্যতম পুরোধা ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়, অর্জুন সিং। এতদিন পর সেই মামলার প্রসঙ্গ ফিরে এল।
শুভেন্দুদের মামলার শুনানির পর রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি।