
এই ঘটনাকেও রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত হিসেবে দেখছেন অনেকে। প্রসঙ্গত, এই সংঘাত নতুন নয়। এর আগে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ও রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মেয়াদ বৃদ্ধির ঘটনাতেও একই ধরনের সংঘাত হয়েছিল। সরকারের সুপারিশ মানতে চাননি আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
কিন্তু রাজ্যপাল তথা আচার্যের অনুমোদন ছাড়া কি রাজ্য সরকার এই নির্দেশিকা জারি করতে পারে?
শিক্ষাবিদদের মতে, বর্তমান আইন হল, সরকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। রাজ্যপালকে কেবল সিলমোহর দিতে হয়। তা না দেওয়ায় এদিন উচ্চ শিক্ষা দফতর বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেয় যাদবপুরের ভিসি হিসেবে সুরঞ্জন দাস আরও দু’বছর দায়িত্বে থাকবেন।
এমনিতে সুরঞ্জনবাবুর সঙ্গেও রাজ্যপালের সংঘাত তীব্র আকার নিয়েছিল। যাদবপুর ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘেরাও হয়ে থাকা, হেনস্থা হওয়ার পর রাজ্যপাল তাঁকে উদ্ধার করতে চলে গিয়েছিলেন। রাজ্যপালের গাড়িতে উঠেই বাবুল ক্যাম্পাস থেকে বের হতে পেরেছিলেন সেবার। সেই ছাত্র বিক্ষোভের ঘটনা নিয়ে সুরঞ্জনবাবুকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু তিনি যাননি।