
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পেগাসাস মামলার (Pegasus) রায় ঘোষণা হবে আজ বুধবার। ফোনে আড়ি-কাণ্ডে কেন্দ্রের জবাব দাবি করে শীর্ষ আদালতে ৯টি পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। মামলাকারীদের আবেদনের ভিত্তিতে পেগাসাস ইস্যুতে শুনানি চলছে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা, বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি হিমা কোহলির বেঞ্চে। বিচারপতিরা আগেই বলেছিলেন, পেগাসাস স্পাইওয়্যার ফোনের তথ্য চুরি করেছে এমন নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে আলোচনা করতেও নিষেধ করা হয়েছিল। পেগাসাস কাণ্ডে কাদের নাম তালিকায় পাওয়া গিয়েছিল সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে হলফনামা পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।
পেগাসাস ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে যাঁরা পিটিশন দাখিল করেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আইনজীবী মনোহর লাল শর্মা। দ্বিতীয় আবেদনকারী সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ জন ব্রিটাস। তাছাড়া সাংবাদিক এন রাম ও শশী কুমারও রয়েছেন আবেদনকারীদের তালিকায়। সাংবাদিক পরাঞ্জয় গুহ ঠাকুরতা, এসএনএম আবিদি, প্রেম শঙ্কর ঝা, রূপেশ কুমার সিং ও ইপ্সা সাতক্ষীর নামও ছিল সেই আড়ি-কাণ্ডের তালিকায়। তাঁরাও পিটিশন দাখিল করেছেন সুপ্রিম কোর্টে। অন্যদিকে, পেগাসাস মামলার তদন্ত দাবি করেছে এডিটর গিল্ড অব ইন্ডিয়া। আদালতে জমা দেওয়া আবেদনপত্রে তারা জানিয়েছে, পেগাসাস ইস্যু নিয়ে তদন্তের জন্য বিশেষ টিম তৈরি করা হোক। পেগাসাস নিয়ে যাবতীয় তথ্যের বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে তলব করুন বিচারপতিরা।
যদিও কেন্দ্রের দাবি ছিল, স্বার্থসিদ্ধির জন্য ভিত্তিহীন খবর ছড়ানো হয়েছে। ইজরায়েলের সংস্থার তৈরি অত্যন্ত দামি সফটওয়্যার ইনস্টল করা হয়েছিল তার কোনও প্রামাণ্য তথ্য নেই। মামলাকারীদের আবেদনপত্র দেখে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানাও বলেছিলেন, পিটিশন যাঁরা দাখিল করেছেন তাঁরা সকলেই শিক্ষিত ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি। এই ধরনের সাইবার অপরাধ হলে তার জন্য দেশে আইন আছে। মামলাকারীরা যদি সত্যি মনে করেন পেগাসাসের মতো কোনও স্পাইওয়্যার ফোনে আড়ি পাতছে এবং তার জন্য সরকারি মদত আছে, তাহলে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করা উচিত ছিল। এখনও অবধি তেমন কোনও মামলা দায়ের হয়নি। এখন দেখার বুধবার কী রায় ঘোষণা করে শীর্ষ আদালত।