
গত সেপ্টেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট শবরীমালা মন্দিরে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে রায় দেয় । বিচারপতিরা বলেছিলেন, নিষেধাজ্ঞাকে ধর্মীয় আচার বলে মেনে নেওয়া যায় না । এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা প্রায় অস্পৃশ্যতার শামিল । এই রায় পুনর্বিবেচনা করার জন্য ৪৯ টি আর্জি জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে ।
শবরীমালা মন্দির বছরে মাত্র ১২৭ দিন খোলা থাকে । সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর অন্তত এক ডজন মহিলা মন্দিরে প্রবেশের চেষ্টা করেছেন। পুলিশ তাঁদের পাহারা দিয়ে মন্দিরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু মন্দিরের কাছেই পৌঁছতে পারেননি তাঁদের বেশিরভাগ ।
৮০০ বছরের পুরানো ওই মন্দিরের দেখভাল করে ত্রিবাঙ্কুর দেবস্থানম বোর্ড । তাদের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়, ওই নিষেধাজ্ঞা মহিলাদের বিরুদ্ধে নয়। তাঁরা স্বেচ্ছায় মন্দিরে না ঢোকার নিয়ম মেনে নিয়েছেন।
কেরলের ক্ষমতাসীন বাম সরকার জানিয়েছে, তারা সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে চলবে । মহিলারা যাতে প্রবেশ করতে পারেন সেজন্য মন্দিরের আশপাশে কড়া প্রহরার ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেস ও বিজেপি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের তীব্র বিরোধিতা করেছে। তাদের বক্তব্য, ধর্মীয় সংবেদনশীল বিষয়ে আদালতের মতামত দেওয়া উচিত নয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে বিজেপি রথযাত্রা বার করবে বলে জানিয়েছে। দলের সভাপতি অমিত শাহ প্রকাশ্যে রায়ের সমালোচনা করেছেন। অন্যদিকে কংগ্রেসও জানিয়েছে, তারা বার করবে পদযাত্রা ।
কেরল সরকার জানিয়েছে, শবরীমালা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হবে । আগামী ১৭ নভেম্বর ফের খুলছে ওই মন্দির। আগামী দুমাস মন্দির খোলা থাকবে । সেই সময় যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সেজন্য সক্রিয় হয়েছে কেরল সরকার ।
এর মধ্যে শবরীমালা নিয়ে অন্য একটি প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেসের বিধায়ক কে মুরলীধরন । তিনি বলেন, গত অগাস্ট মাসের বন্যায় মন্দিরের পরিকাঠামো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এখন মন্দিরের আশপাশে পর্যাপ্ত সংখ্যায় শৌচাগার ও পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। রাজ্য সরকারের উচিত অবিলম্বে ভেঙে পড়া পরিকাঠামো সারিয়ে তোলা ।