
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাবার প্রাণ কেড়েছে করোনা। মাও শয্যাশায়ী। সব মিলিয়ে দুই মেয়ের মনে জড়ো হয়েছিল একরাশ হতাশা। দীর্ঘদিন ধরে সেই হতাশা তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে গোটা পরিবারকে। হতাশার থেকেই কি আত্মহত্যার (Suicide) সিদ্ধান্ত? দিল্লির বসন্ত বিহারের (Delhi) মর্মান্তিক ঘটনা থেকে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান সেটাই। তবে একই পরিবারের তিন সদস্যের এহেন আত্মহত্যার পেছনে অন্য কোন কারণ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
জানা গেছে, দিল্লির বসন্ত বিহারের বসন্ত আবাসনের ২০৭ নম্বর ফ্ল্যাটে থাকতেন মঞ্জুদেবী ও তাঁর দুই মেয়ে অনশিকা ও অঙ্কু। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই মেলামেশা একপ্রকার বন্ধই করে দিয়েছিলেন তাঁরা। নিজেদের মত থাকতেন। বেশিরভাগ সময়ই ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ থাকত (Suicide)।
তবে বিগত কয়েকদিন একবারের জন্যও দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। বারবার দরজা ধাক্কা দিয়ে ও ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া না পাওয়ায় সন্দেহ বাড়ে। খবর যায় পুলিশের কাছে। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ফ্ল্যাটের মধ্যে ঢুকে দেখা যায় গ্যাস সিলিন্ডার অর্ধেক খোলা। আর ঘরের মধ্যে তিনজনের মৃতদেহ। কিন্তু মৃত্যুর কারণ কী? পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ঘরের দরজা জালনা সব বন্ধ ছিল। আগুন জ্বলছিল। সেই থেকেই শ্বাসকষ্টে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। মৃতদেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্থানীয়দের কথায়, মঞ্জুদেবীর স্বামী গতবছর এপ্রিল মাসে করোনাতে মারা যান। সেই থেকে গোটা পরিবার অবসাদে ভুগতে থাকে। মঞ্জুদেবী নিজেও অসুস্থ ছিলেন। অসুস্থতার কারণে বিছানা ছেড়ে ওঠার ক্ষমতা প্রায় ছিল না বললেই চলে। সেই থেকেই কি এই চরম সিদ্ধান্ত? পুলিশের প্রথামিক অনুমান আত্মহত্যা হলেও খুনের সন্দেহ একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না তদন্তকারী অফিসাররা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বসিরহাটে ঝড়ের ধাক্কায় হুড়মুড়িয়ে ভাঙল মাটির দেওয়াল! চাপা পড়ে মৃত্যু মহিলার