
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মাসখানেক আগে একটি জনসভা থেকে শুভেন্দু অধিকারির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছিলেনন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেনের চিঠি দেখিয়ে সরাসরি বলেছিলেন, “শুভেন্দু ঘুষখোর।” ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তমলুকের সভা থেকে শুভেন্দু বলেছিলেন, “ম্যাডাম নারুলাটা কে? যার অ্যাকাউন্টে কয়লা পাচারের টাকা যায়!” থাইল্যান্ডের একটি ব্যাঙ্কের শাখার নাম উল্লেখ করে সেই অভিযোগ তুলেছিলেন শুভেন্দু।
রবিবার দুপুরে কয়লা-কাণ্ডে সিবিআই হানা দিয়েছে অভিষেকের বাড়ি। তাঁর স্ত্রী রুজিরা নারুলাকে নোটিস দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি। তার কয়েক ঘণ্টা পর সন্ধ্যায় আসানসোলে বিজেপির সভা থেকে সিবিআইয়ের উপর চাপ বাড়াতে চাইলেন বিজেপি নেতা।
এদিন শুভেন্দু বলেন, “নোটিস দিলে হবে না, ব্যবস্থা নিতে হবে। পশ্চিমবাংলার জনতার সামনে আনতে হবে। ২০১৪ সাল থেকে ২০ সালে ম্যাডাম নারুলার অ্যাকাউন্টে কত কোটি টাকা জমা হয়েছে আপনাদের বলতে হবে।”
বাম-কংগ্রেস নেতারা প্রায়ই বলেন, চিটফান্ড হোক বা কয়লা-গরু পাচার, বারবার তদন্তের গতি বাড়িয়েও থমকে গিয়েছে সিবিআই, ইডি। অধীর চৌধুরী, মহম্মদ সেলিমদের বক্তব্য, আসলে তলায় তলায় সেটিং আছে। শুভেন্দু যেন এদিন তাতেই আঘাত হানতে চাইলেন। কার্যত দাবি তুললেন, জনসমক্ষে আনতে হবে সমস্ত হিসেব।
এদিন মুকুন্দপুরে অভিষেকের শ্যালিকার ফ্ল্যাটেও নোটিস দিয়েছে সিবিআই। তা নিয়েও তীব্র আক্রমণ শানান শুভেন্দু। তাঁর কথায়, লালার টাকা তো গেছে আপনার স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে। অর্জুন তো বলল আপনার শ্যালিকার অ্যাকাউন্টে গেছে।”
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বর্ধমানের শিল্পাঞ্চলে গেলেন শুভেন্দু। আগের বার গিয়েও কোলিয়ারি অঞ্চলের লুঠ নিয়ে কালীঘাটের দিকে নিশানা করেছিলেন। এদিন নন্দীগ্রাম আন্দোলনের নেতা বলেন, “রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া, বারাবনী, পাণ্ডবেশ্বর এ সব জায়গার কয়লা তুলে এলাকার পর এলাকা ফাঁকা করে দিয়েছে। যে কোনও সময় ধস নামবে। ঠিক একই ভাবে পুরুলিয়া, রঘুনাথপুর, নিতুরি, সাতুরিতে বালি তুলেছে।”
কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, “আজকে কয়লার রাজধানীতে এসেছি, আর কয়লা চোরের বাড়িতে সিবিআই পৌঁছে গেছে।”