Latest News

ফি-বৃদ্ধির প্রতিবাদ, ছাত্র আন্দোলনের আঁচ বাড়ছে প্রেসিডেন্সিতে

দ্য ওয়াল ব্যুরো: যাদবপুর, মেডিক্যাল কলেজের পরে এবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্নাতক স্তরের ভর্তির ফি পাঁচ গুণ বৃদ্ধির প্রতিবাদে পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। আটকে রয়েছেন রেজিস্ট্রার ও ডিন অফ সায়েন্স।

পড়ুয়ারা জানান, কোনও আলোচনা ছাড়াই কলেজে ভর্তির ফি ১০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও তাঁদের দাবি, সম্পূর্ণ মেধাতালিকা প্রকাশ না করেই ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ ভর্তিতে অস্বচ্ছতাও রয়েছে৷

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবাশিস কোঙার অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “এই পুরো ভর্তি প্রক্রিয়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও হাত নেই। এই পরিচালিত হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন বোর্ডের দ্বারা। এই ফি বৃদ্ধিও তাদেরই সিদ্ধান্ত”। তবে ফি বৃদ্ধি নিয়ে মন্তব্য করলেও, মেধা তালিকা প্রকাশ করা নিয়ে কিছু বলতে চাননি দেবাশিস বাবু। এ বিষয়ে নীরব প্রিন্সিপ্যালও।

নিয়ম অনুযায়ী, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পদ্ধতি প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাওয়া নম্বর ও কাউন্সেলিংয়ে প্রাপ্ত মেধা তালিকার উপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয়। অভিযোগ, এ বছরে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়নি৷ অথচ ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হয়েছে৷

প্রেসিডেন্সির এই আন্দোলনকে ইতিমধ্যে জানিয়ে অন্যান্য ছাত্র সংগঠনও প্রতিবাদে সামিল হয়েছে। শুক্রবার পড়ুয়ারা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ডিন, কন্ট্রোলার এবং রেজিস্ট্রারকে ঘেরাও করে রেখেছেন। তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ফিন্যান্স অফিসারের ঘরের বাইরে।

যত ক্ষণ না স্বচ্ছতার সঙ্গে মেধা তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে, তত ক্ষণ অবস্থান চলবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, কোনও মতেই পাঁচশো টাকা নেওয়া যাবে না ভর্তির জন্য। অনেক গরিব ছাত্রছাত্রী এখানে পড়তে আসেন। তাঁদের পক্ষে সেই টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। পরীক্ষায় পাশ করার পর কেনই বা কাউন্সেলিংয়ের জন্য তাঁরা টাকা দিতে যাবেন?

আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, ২০ ঘণ্টার বেশি সময় কেটে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কোনও আলোচনার প্রস্তাব আসেনি। অথচ কে, কত নম্বর পেয়ে ভর্তি হচ্ছেন জানা যাচ্ছে না। মেধা তালিকা প্রকাশ করা হলে স্বচ্ছতা বজায় থাকবে। কাউন্সেলিংয়ের জন্য বহু পড়ুয়া আসছেন। তাঁরা টাকাও জমা দিচ্ছেন। কিন্তু সবাই তো আর ভর্তি হতে পারবেন না। যাঁরা ভর্তি হতে পারবেন না, তাঁদের থেকে কেন টাকা নেওয়া হচ্ছে, তার কোনও সদুত্তর নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে।

You might also like