
দ্য ওয়াল ব্যুরো, জলপাইগুড়ি: জল্পেশ মন্দির (Jalpesh Temple) সংক্রান্ত নয়া নির্দেশিকা হাইকোর্ট (High Court) জারি করতেই দ্রুত পদক্ষেপ নিল জেলা প্রশাসন (Jalpaiguri)। গর্ভগৃহের বাইরে থেকে জল ঢালার জন্য প্রয়োজনীয় কাজ শুরু করল মন্দির কর্তৃপক্ষও।
গতকালই জল্পেশ মন্দিরের গর্ভগৃহে পুন্যার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি শিবের মাথায় জল ঢালার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন জেলা প্রশাসনকে। এরপরই নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন। তড়িঘড়ি শুরু হয় শিবের মাথায় জল ঢালার জন্য চ্যানেল তৈরি-সহ অন্যান্য কাজ।
মন্দির কমিটির সম্পাদক গিরীন্দ্রনাথ দেব বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশের পর মন্দিরে তড়িঘড়ি কাজ শুরু হয়েছে। আমরা অবশ্যই এই নির্দেশ মেনে চলব। হাইকোর্টের তরফে যেই নতুন নির্দেশিকা জারি হয়েছে, তাতে বলা আছে –
- শ্রাবণ মাসের আগামী দুই রবিবার ও সোমবার জল্পেশ মন্দিরের গর্ভগৃহে পুণ্যার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেননা।
- মন্দির প্রাঙ্গনে এসে বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে জল ঢালবেন পুণ্যার্থীরা।
- এই দুই দিন মন্দিরে কোনওরকম টিকিট বিক্রি করা যাবে না।
- যে কোনও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা দ্রুত গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
- মন্দিরে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করতে হবে।
শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত হাইকোর্টের এই নির্দেশিকা পাঠ করে শোনান। একইসঙ্গে তিনি বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। পাশাপাশি ডিজের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। সমস্ত থানার অধীনে থাকা মাইক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মিটিং করে জানানো হয়েছে যে, এরপর কারও কাছ থেকে ডিজে উদ্ধার হলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জল্পেশ মন্দিরে ঢুকে জল ঢালায় নিষেধাজ্ঞা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, বিপদের পরে কড়া আদালত
সম্প্রতি জল্পেশ মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করে ব্যাপক ভিড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন জলপাইগুড়ির বাসিন্দা রাজ কুমার দাস নামে এক ব্যক্তি। এরপর তিনি বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের নজরে আনেন। বিষয়টি যায় জাস্টিস অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। মামলা গ্রহন করে তিনি জেলা প্রশাসন এবং মন্দির কমিটিকে ডেকে পাঠান। এরপরই গতকাল কড়া নির্দেশ জারি করেন।