
দ্য ওয়াল ব্যুরো : নো ইওর কাস্টমার (কেওয়াইসি) আপডেট করার নামে ব্যাঙ্কের আমানতকারীদের ঠকাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। অনেকে ঠকে যাওয়ার পরে অভিযোগও জানিয়েছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) কাছে। সেজন্য গত সোমবার প্রেস বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক আমানতকারীদের সতর্ক করল। আরবিআইয়ের টুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনকে।
অভিনেতা বলছেন “আরবিআই কহতে হ্যায়, স্টে অ্যালার্ট! আপনার লগিং ডিটেলস, ব্যক্তিগত তথ্য, কেওয়াইসি নথি, কার্ডের তথ্য, পিন, পাসওয়ার্ড, ওটিপি ইত্যাদি কাউকে জানাবেন না।”
.@RBI Kehta Hai..
Stay Alert!
Do not share your login details, personal information, copies of KYC documents, card information, PIN, password, OTP etc. with unknown people or through unverified websites or Apps. #BeAware #BeSecure#rbikehtahai #StaySafe@SrBachchan pic.twitter.com/AWoKk9ySJV— RBI Says (@RBIsays) September 15, 2021
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, অনেক সময় দুষ্কৃতীরা ফোন কল, এসএমএস, ই-মেল ইত্যাদির মাধ্যমে ব্যাঙ্কের আমানতকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাঁদের বলে, কেওয়াইসি আপডেট করতে হবে। তাই আমানতকারী যেন তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য, যথা অ্যাকাউন্ট, লগিং ডিটেলস, কার্ড ইনফর্মেশন, পিন, ওটিপি ইত্যাদি জানিয়ে দেন।
ওই তথ্য জানতে পারলেই দুষ্কৃতীরা আমানতকারীর অ্যাকাউন্টের নাগাল পেয়ে যায়। আরবিআই থেকে বলা হয়েছে, কাউকে যদি ফোনে বা অন্যভাবে ব্যক্তিগত তথ্য জানাতে বলা হয়, তিনি যেন ব্যাঙ্কের নিকটবর্তী শাখায় যোগাযোগ করেন।
গত অগাস্ট মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানান, অর্থনীতি যাতে কোভিডের দ্বিতীয় ওয়েভের ধাক্কা দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারে, সেজন্য রেপো রেট অক্ষুণ্ণ রাখা হয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে সুদে অন্যান্য ব্যাঙ্ককে ঋণ দেয়, তাকে বলা হয় রেপো রেট। রেপো রেট আগের মতোই থাকছে চার শতাংশ। রিভার্স রেপো রেটও আগের মতোই থাকছে ৩.৩৫ শতাংশ। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নিজে যে সুদে অন্যান্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেয়, তাকে বলা হয় রিভার্স রেপো রেট।
শক্তিকান্ত দাস বলেন, “কোভিড নিয়ে আমাদের সতর্কতা শিথিল করলে চলবে না। নজর রাখতে হবে থার্ড ওয়েভ আসছে কিনা। দেশের কয়েকটি প্রান্তে সংক্রমণ বাড়ছে। বিষয়টি উদ্বেগজনক।”
এই নিয়ে টানা সাত মাস ঋণের হার অপরিবর্তিত রাখল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। দেশ কোভিড অতিমহামারীর কবলে পড়ার পরে ২০২০ সালের ২২ মে সুদের হার পরিবর্তন করা হয়েছিল। গত মাসে একটি বিদেশি সংবাদ সংস্থা ভারতের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে ৬১ জন অর্থনীতিবিদের মতামত চায়। তাঁরা একবাক্যে বলেন, এই পরিস্থিতিতে সুদের হার পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা তাঁরা দেখছেন না। করোনার প্রভাব থেকে অর্থনীতিকে রক্ষা করার জন্য ২০২০ সালের মার্চ মাসেই রেপো রেট ১১৫ বেসিস পয়েন্ট কমায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। শক্তিকান্ত দাস এদিন বলেন, অর্থনীতির পুনরুজ্জীবনের কয়েকটি লক্ষণ দেখা গিয়েছে।
ইতিমধ্যে আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ জানিয়েছেন, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার পূর্বনির্ধারিত সাড়ে ১২ থেকে কমে সাড়ে ৯ শতাংশ হতে পারে। তাঁর মতে, ব্যাপক ছোঁয়াচে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপট গোটা দুনিয়ায় দেখাচ্ছে। করোনাভাইরাসের চরিত্রে গুরুত্বপূর্ণ বদল হয়েছে। আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাসের বদলে তারই প্রতিফলন রয়েছে।