
অভিযোগ, তাঁদের সংসারে নিত্য অশান্তি লেগেই থাকত। এমনকি বাড়িভাড়াও ঠিকমতো দিতে পারতেন না স্বামী হুমায়ুন। আর্থিক অনটন সহ নানা বিষয় নিয়ে ঝামেলা ছিল রোজকার বিষয়। পরিস্থিতি অসহ্য হয়ে উঠছিল ক্রমশ। দুই সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়েও উদ্বিগ্ন বধূ অবশেষে সন্তানদের নিয়ে মহেশতলার সন্তোষপুরের বাপের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। কিন্তু বিষয়টা মেনে নিতে পারেননি স্বামী। বউকে ‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পরিকল্পনা ফাঁদেন হুমায়ুন।
অভিযোগ, ছোটছেলেকে দেখতে চান বলে বুধবার রাতে মহেশতলার রামপুর মোড়ে স্ত্রীকে ডেকে পাঠান হুমায়ুন। বধূ সেখানে হাজির হতেই তাঁদের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। এই সময় স্ত্রীকে ধরে পেটাতে করতে শুরু করেন হুমায়ুন। বধূ রুখে দাঁড়াতেই আচমকা তাঁকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছোড়ে হুমায়ুন। অ্যাসিড হামলায় বধূর মুখ মারাত্মকভাবে ঝলসে গিয়েছে। পাশাপাশি তাঁর কোলের ছেলেটিও জখম হয়েছে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের প্রথমে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয় বধূকে। সূত্রের খবর, আপাতত বধূর প্রাণসংশয় নেই। তবে তাঁর আরও চিকিৎসা প্রয়োজন। স্থান সঙ্কুলানের সমস্যার কথা জানিয়ে হাসপাতাল থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে! তাঁকে চিকিৎসার জন্য অন্যত্র নিয়ে গিয়েছে পরিজনেরা। তাঁদের বক্তব্য, আশপাশের লোকজন পাশে দাঁড়ালে এইধরনের ঘটনা রোখা সম্ভব। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।