
একক বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র সংসদের নির্বাচন চায় সরকার, চিঠি উপাচার্যদের
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ছাত্রভোট করাতে চেয়ে রাজ্যের চারটি একক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে চিঠি দিল রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর। চিঠিতে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশেই এই চিঠি দেওয়া হচ্ছে। আইন অনুযায়ী, একক বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র সংসদের ভোটের দিন ঘোষণা করতে পারে না রাজ্য সরকার। তাই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই পদক্ষেপ।
বিকাশভবন থেকে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ও ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ভোটের দিনক্ষণ স্থির করে তাঁরা যেন উচ্চশিক্ষা দফতরে তা জনিয়ে দেন।
এ বছরের গোড়ায়, ফেব্রুয়ারি মাসে ছাত্র সংসদে নির্বাচনের দাবিতে উত্তাল হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ঘেরাওয়ের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাশ। নির্বাচিত ছাত্র সংসদ নাকি অরাজনৈতিক ছাত্র সংসদ – এই নিয়েই বিতর্ক ছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে।
পরে অগস্ট মাসে ছাত্রনেতাদের ডেকে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় নির্বাচন নিয়ে কড়া বার্তা দেন। ছাত্রভোটে অন্তত যেন রাজ্যে গণতন্ত্র না থাকার অভিযোগ তুলতে পারে বিরোধীরা। তবে এত করেও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঢেকে রাখা যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ভালো ফল করেছে, তাই ছাত্র নির্বাচনে কলেজগুলি ধরে রাখা এখন বড় চ্যালেঞ্জ তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে।
গত বার ছাত্র ভর্তি নিয়ে.সিন্ডিকেটের অভিযোগে জেরবার হয়েছিল টিএমসিপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সরিয়ে দেওয়া হয় সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী জয়া দত্তকে। ২৮ অগস্ট টিএমসিপি-র প্রতিষ্ঠা দিবসের সমাবেশ হয় সভাপতিহীন। কিন্তু এ বার ভর্তি অনলাইন হওয়ায় সেই ঝামেলা পোয়াতে হয়নি। তবে ফার্স্ট ইয়ারের ক্লাস শুরু হতেই একাধিক জায়গায় টিএমসিপি-এবিভিপি সংঘর্ষ হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বাস্তব পরিস্থিতি বুঝেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই বার্তা দিয়েছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় শুধু রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী নন, শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিবও।
https://www.four.suk.1wp.in/pujomagazine2019/%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a6%ae%e0%a6%b9%e0%a6%b2%e0%a6%be-%e0%a6%86%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b6%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%a8%e0%a7%80%e0%a6%9a%e0%a7%87/