
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বসন্ত এসে গেছে?
রবি ঠাকুর লিখেছিলেন, ‘সে যে কখন আসত যেত জানতে পেতেম না যে’, শীত নিয়েও হয়েছে একই জ্বালা। সে যে কখন আসে, কখন যায়, বোঝাই দায়। হিমের পরশ নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন আবহাওয়াবিদেরাও (Weather)। শীত যে ‘গুড বাই’ বলে চলে যায়নি, সেটা তো স্পষ্ট। ভোরের শহরে হিমেল হাওয়া, হাল্কা কুয়াশার আদর মেখেই ঘুম ভাঙে তিলোত্তমার। বেলা বাড়লে কোথায় যেন নিরুদ্দেশ হয় শীত। সে জায়গায় প্রক্সি দেয় চড়া রোদ। সন্ধের পরে হাল্কা আমেজ ছড়িয়ে জানান দেয়, সে এখনও আছে।
প্রেম দিবস আসছে। ভালবাসার দিন মানেই দুয়ারে জাগ্রত বসন্ত। কিন্তু শীতকাল বলছে, আরও একটু কাছে ঘেঁষে বোসো। জলবায়ুর বদলে গোলমেলে ঋতুচক্রে বসন্ত আর শীত পাশাপাশিই অবস্থান করবে। রাঙা পলাশের দিনে চোরা পথে উঁকিঝুঁকি দিয়ে যাবে শীত। একরাশ হিমেল হাওয়া ছড়িয়ে, তাপমাত্রা খানিক নামিয়ে পাকাপাকিভাবে বিদায় নেবে শীত।
আলিপুর হাওয়া অফিস অনেক হিসেব কষে বলেছে, শীত আরও কয়েকদিন আসা-যাওয়ার মাঝে থাকবে। দক্ষিণের সমতল ও উত্তরের পাহাড়ি জেলাগুলোতে কনকনে ঠান্ডা না হলেও হাল্কা হিমের পরশ থাকবে। আগামী কয়েকদিন কুয়াশাও থাকবে। কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি হয়েছে। কুয়াশার চাদর বিছিয়ে থাকবে দক্ষিণেও। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা ও নদিয়াতে ভোরের দিকে হাল্কা কুয়াশা থাকবে। পাহাড়ে আবার বৃষ্টির সম্ভাবনাও আছে।
প্রেম দিবসের আগে অবধি তাপমাত্রার পারদ স্থির হবে না। কখনও সে উঠবে, কখনও নামবে। হাওয়া অফিস বলছে, ১৪ ফেব্রুয়ারি অবধি তাপমাত্রা ওঠানামা করবে। আগামীকাল বুধবার অবধি সকাল ও সন্ধেয় শীতের আমেজ কমবে, বাড়বে তাপমাত্রা। আবার বৃহস্পতি থেকে তাপমাত্রা ঝুপ করে নামবে। শনিবার ফের বাড়বে। বসন্ত যখন আসি আসি করছে, তখন আবার নামবে তাপমাত্রা। প্রেম দিবসে হাল্কা শীতের আমেজে মাখোমাখো হবে তিলোত্তমা। তার পর থেকে আর শীতের দেখা নাও মিলতে পারে।
আবহাওয়াবিদেরা বলেন, এখন তো তিনটে ঋতু, গ্রীষ্ম, বর্ষা আর শীত। শীতের পরে গ্রীষ্মই আসবে, মাঝে সিজন চেঞ্জের মতো বসন্ত উঁকি দিয়ে যাবে। মাঝেমধ্যে বৃষ্টিও হবে। রাজস্থানে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। উত্তর-পশ্চিম ভারতে কয়েক পশলা বৃষ্টির সঙ্গে তুষারপাত হওয়ার সম্ভাবনাও আছে।