
মঙ্গলবার যখন জানা গেল যে জানুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে হাওড়ায় বড় সভা করতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বা বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা, তখন সেই চিকিৎসকের উপরেও আলো পড়েছে। রাজ্য রাজনীতিতে গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজভবনের পথ ধরেই কি দল ছাড়তে চলেছেন ডাক্তারবাবু।
অন্যজন অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসক। তাঁকে নিয়ে অবশ্য এতটা হইচই নেই। বরং গুঞ্জন হোক বা জল্পনা যাই হোক, তা অনেকটাই চাপা। এক সময়ে প্রদেশ কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নানের ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। পরে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছাকাছি আসেন। তবে শাসক দলে থাকলেও তিনি বরাবরই প্রচারের বাইরে থাকারই চেষ্টা করেন। ক্ষমতার অলিন্দেও তাঁকে খুব বেশি ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায় না। একটি সূত্রের মতে, বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব তাঁকে দলে টানার জন্য খুবই চেষ্টা করছেন। সেই চেষ্টা সফল হয়েছে কিনা তা এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়।
বাংলার রাজনীতিতে চিকিৎসকের সংখ্যা কিন্তু কম নয়। এক সময়ে চিকিৎসক রঞ্জিত পাঁজা তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ছিলেন। তখন বিজেপি ও তৃণমূলের জোট ছিল। রঞ্জিতবাবু অনেক আগেই প্রয়াত হয়েছেন। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার, মহিষাদলের বিধায়ক সুদর্শন ঘোষদস্তিদার, তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুইঞাঁ, বিজেপি বিধায়ক সুভাষ সরকার, রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা ও নির্মল মাঝি প্রমুখ সকলেই চিকিৎসক।
এই প্রতিবেদনে অবশ্য এঁদের কথা বলা হচ্ছে না। তবে মজা করে এদিন প্রদেশ কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, “ডাক্তারবাবুরা দল ছাড়লে ভাল লক্ষণ নয় কিন্তু!” কেন? “কারণ, নাড়ি টিপে নিশ্চয়ই ভাল বুঝছেন না!”