
ভগবানপুরের ভূপতিনগর থানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বিকেলে ভগবানপুর ২ নম্বর ব্লক থেকে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে কয়েকজন জলে ডুবে থাকা গ্রামের ওপর দিয়ে নৌকায় ইটাবেড়িয়া যাচ্ছিলেন। সেখানকার একাধিক গ্রাম কার্যত জলের তলায়। আচমকাই ত্রাণের নৌকায় বিদ্যুতের তার জড়িয়ে যায়। বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় একজনের। নৌকা থেকে আরও একজন জলে পড়ে যান। তাঁর খোঁজ মেলেনি এখনও। নৌকায় থাকা বাকিরাও জখম হয়েছেন। আহতদের তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কীভাবে বিদ্যুতের তার খুলে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল, সে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সূত্রের খবর, ওই নৌকায় ছিলেন ইটাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুমিতা মন্ডল সহ তৃণমূলের বেশ কয়েকজন কর্মী ও পঞ্চায়েত কর্মীরা। মৃতের নাম সৌরভ মণ্ডল। পুলিশ জানিয়েছে, সৌরভ মণ্ডলের দেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রদীপ মাইতি নামে আরও একজন নিখোঁজ। সম্ভবত মৃত বলেই অনুমান পুলিশের।
রবিবার রাত থেকে সোমবার সারাদিন অতি ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন রাজ্যের একাধিক জেলা। বিশেষ করে সমুদ্র উপকূলবর্তী জেলাগুলি কার্যত জলের তলায়। হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া থেকে মেদিনীপুর সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা বন্যা কবলিত। ডুবে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। উদ্ধারকাজে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। নবান্নে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম চালু করে (টোল ফ্রি নম্বর ১০৭০, ২২১৪৩৫২৬) পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। মেদিনীপুর ও দক্ষিণবঙ্গে ৫৭৭টি ত্রাণশিবিরে এক লক্ষ ৪১ হাজার মানুষকে সরাতে হয়েছে বলেও নবান্ন সূত্রের খবর।