
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে (Torture of in laws) গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) হয়েছেন যুবক! এমনই অভিযোগ উঠেছে কালনার (Kalna) মন্তেশ্বর থানা এলাকার উত্তর পাড়া গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম নানু পড়েল। তাঁর দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে কালনা মহকুমা হসপিটালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রায় বছর ১৫ আগে কালনার মন্তেশ্বর এলাকার নানু পড়েলের সঙ্গে বিয়ে হয় কাটোয়ার শিখা পড়েলের। এক ছেলে ও এক মেয়েও হয় তাঁদের। প্রথম দিকে সব ঠিকঠাক চললেও, পরে টুকটাক নানা বিষয় নিয়ে অশান্তি বাড়তে থাকে সংসারে।
জানা গেছে, গত বছরে পাড়ার একটি ছেলের সঙ্গে ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায় শিখা। তার পরেও নানু পড়েল সব কিছু মেনে নিয়েই ফের স্ত্রীকে নিয়ে ঘর বাঁধে নতুন করে। অভিযোগ, তার পর থেকেই নানুর উপর চলতে থেকে অত্যাচার। কখনও স্বামীকে মারধর করত শিখা, কখনও শাশুড়ির গায়েও হাত তুলত সে। তিন দিন আগে অশান্তি চরমে পৌঁছয়। ফের মারধর করে শিখা।
এমনকি শিখার বাড়ির লোকজন এসেও নানুকে মারধর করে বলে অভিযোগ। শিখা এবং তার ছেলেমেয়েদের নিয়ে চলেও যান বাড়ির লোকজন। এর পর থেকেই মনমরা ছিলেন নানু। গতকাল, শনিবার তাঁর মাকে মন্তেশ্বরের বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। নানুর পরিবারের দাবি, অপমান সহ্য করতে না পেরে মন্তেশ্বর থানার উত্তরপাড়া এলাকার পুকুরপাড়ের একটি বটগাছে গিয়ে গলায় দড়ি দেন নানু। তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় আজ।
অলিম্পিয়াডে প্রথম শান্তিপুরের হকারের সন্তান! অভাবকে হার মানিয়েছে প্রতিভা ও পরিশ্রম