
ভিজিলেন্স কমিশনের এই নতুন নির্দেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এ নিয়ে পর মুহূর্তেই প্রশ্ন উঠেছে। এক, এই নির্দেশ নিশ্চয়ই রেট্রোস্পেকটিভ নয়। কারণ, ভিজিলেন্স কমিশন বলেছে, এ বার থেকে তাদের ছাড়পত্র লাগবে। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিয়োগ হয়ে গিয়েছে। ফলে তাঁর ক্ষেত্রে এই নির্দেশ প্রযোজ্য হওয়ার কথা নয়।
দুই, কেন্দ্রের হঠাৎ এই বোধোদয় কেন হল? খোদ মোদী সরকারেই প্রাক্তন অনেক আমলা বহালতবিয়তে কাজ করে চলেছেন। নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁর সচিবালয়ে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পদে নৃপেন্দ্রনাথ মিশ্রকে নিয়োগ করা হয়েছিল। নৃপেন মিশ্র তার অনেক আগেই অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস থেকে অবসর নিয়েছেন। সেই সময়ে কি তাঁর ভিজিলেন্স ছাড়পত্র নিয়ে তবেই তাঁকে নিয়োগ করা হয়েছিল?
বস্তুত এর আগেও রাজ্যে সুরজিৎ কর পুরকায়েস্থ, গৌতম সান্যালদের নিয়োগ করেছিল নবান্ন। অন্যান্য রাজ্যেও এই ঘটনা আকছার দেখা যায়। কিন্তু কাকতালীয় হল, বাংলায় আলাপন পর্বের পরেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল সিভিসি।
কেন্দ্রীয় ভিজিলেন্স কমিশন এদিন আরও বলেছে অল ইন্ডিয়া সার্ভিস গ্রুপের ‘এ’ গ্রেডের অফিসার বা তাঁর সমমর্যাদার অফিসারের ক্ষেত্রে এই নির্দেশিকা প্রযোজ্য। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যে যে সংস্থার হয়ে সংশ্লিষ্ট আমলা কাজ করেছেন সেই সমস্ত সংস্থারও ছাড়পত্র লাগবে নিয়োগের ক্ষেত্রে। তবেই নিয়োগ করা যাবে। সংশ্লিষ্ট অফিসারকে এই সমস্ত ধাপ পেরিয়ে তবেই কাজে যোগ দিতে হবে।
কেন্দ্রীয় ভিজিলেন্স কমিশন আরও বলেছে, কোনও পদে যদি কোনও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি আমলাকে নিয়োগ করতে হয় তাহলে একজনকে বেছে নিয়োগ করে নিলে হবে না। তার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। যাতে সমমর্যাদার বাকিরাও আবেদন করার সুযোগ পান। তা না হলে এই নিয়োগ পক্ষপাতদুষ্ট হতে পারে।