
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: সামনে বিয়ারের বোতল। হাসিহাসি মুখে স্যান্ডো গেঞ্জি গায়ে বসে রয়েছেন মঙ্গলকোটের অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি মিহির ঘোষ। এই ছবি এখন হোয়াটসঅ্যাপে ঘুরছে। তাই নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে রাজনীতি।
মিহিরবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, দলীয় কার্যালয়ের মধ্যে মদের আসর বসান ওই তৃণমূল নেতা। দলের ওপরতলার নেতার এমন ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় ঘোরাফেরা করায় তৃণমূল বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে। দলের অন্দরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
মাস তিনেক আগে মঙ্গলকোটের পালিগ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ মজনু ওরফে বুলেটের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল শেখ মজনু জুয়ার আসরে বসে রয়েছেন। সেই ঘটনার পর দলীয় নেতৃত্ব তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়। ঘটনার পর শেখ মজনুকে পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকতে নিষেধ করে দেন দলীয় নেতৃত্ব। তাঁকে দলেরও সমস্ত কাজকর্ম থেকেও বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। দলের কোনও কর্মী এই ধরনের বিতর্কে জড়িয়ে পড়লে তাঁকে দল প্রশ্রয় দেবে না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের মঙ্গলকোট অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি মিহির ঘোষের ওই ‘মদের আসরে’ বসে থাকার ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ল।

যদিও মদ্যপানের কথা পুরোপুরি অস্বীকার করেননি অভিযুক্ত নেতা মিহির ঘোষ। তিনি বলেন,’হতে পারে কখনও পিকনিক করতে গিয়ে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে মদ্যপান করেছি। কিন্তু ঘরে বা দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে বসে তো খাইনি। জানিনা এসব কারা ছড়াচ্ছে।’
যদিও এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতির জলঘোলা করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, ‘যাঁদের যেমন সংস্কৃতি, শিক্ষা, তারা তো তেমনই করবে। এতে নতুন কী। উন্নয়নের টাকায় মচ্ছব হচ্ছে। তৃণমূল নেতারা বেশ আনন্দে আছে।’
রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘কেউ অন্যায় করলে দল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’
মেয়ে গণধর্ষিতা হয়েছে, এফআইআর না নিয়ে হুমকি পুলিশের! যোগীরাজ্যে আত্মঘাতী বাবা