
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শাসকদলের (TMC) গোষ্ঠী সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল পূর্ব বর্ধমানের খাগড়াগড় (Khagragarh)। ঘটনায় এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য সহ দু’পক্ষের তিন চারজন জখম হয়েছে। তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
খাগড়গড়ে এর আগেও দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। মাঝে বেশ কিছুদিন এলাকা শান্ত ছিল। শনিবার সন্ধেয় তৃণমূলের বিবদমান দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ফের সংঘর্ষ বাঁধে। ঘটনায় জখম সরাইটিকর পঞ্চায়েত সদস্য শেখ ফিরোজের দাবি এলাকার কয়েকজন দুস্কৃতি তাঁকে মারধর করে। আততায়ীরা এলাকায় অশান্তি বাঁধানোর চেষ্টা করছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা আহমেদ আলি মণ্ডলের দাবি, শেখ ফিরোজ এলাকায় কোনও উন্নয়ণমূলক কাজ করেন না। এলাকায় তারাই বরং জনস্বার্থে কাজ করে থাকেন। এতে শেখ ফিরোজের ঈর্ষা হয়। আর সেই জন্য এলাকার তৃণমূল কর্মী তাদের দলের শেখ ইনসানকে মারধর করে শেখ ফিরোজের লোকজন। আহমেদ আলির অভিযোগ, লাঠিসোটা নিয়ে ফিরোজের নেতৃত্বে ২৫ -৩০ জন ইনসানের উপর হামলা চালায়। মারধরের খবর পেয়ে তারা রক্তাক্ত অবস্থায় ইনসানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তাঁর দাবি, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট পাবে না বলেই তাঁদের উপর হামলা করেছে শেখ ফিরোজের লোকজন।
সিলিং থেকে ঝুলছে দিদি, ঘুম ভাঙতেই আঁতকে উঠল তিন বছরের শিশু
আহমেদ আলি দাবি করেছেন তাঁর দলবল বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসের অনুগামী। আর শেখ ফিরোজ বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কাকলি তা-র অনুগামী বলে জানান তিনি। এই বিষয়ে বিধায়ক খোকন দাস বা কাকলির কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঘটনার বিষয়টি তার জানা নেই। তবে কে কোন দল করে সেটা বিষয় নয়। কেউ এলাকায় অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করলে প্রশাসন আইন অনুযায়ী তার ব্যবস্থা নেবে। ঘটনার পরই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।