Latest News

পঞ্চায়েত ভোটে হারের ভয়েই তাঁকে আটকে রাখার চেষ্টা, বারুইপুর কোর্টে ঢোকার মুখে বললেন নওসাদ

দ্য ওয়াল ব্যুরো, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পঞ্চায়েত ভোটে (panchayat polls) হারের ভয়েই তাঁকে আটকে রাখার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করলেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি (Nawsad Siddique)। শুক্রবার বারুইপুর আদালতে (Baruipur court) তুলে তাঁকে হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানায় কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। ধর্মতলায় পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের মামলায় কেন লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ তাঁকে হেফাজতে চাইছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও।

গত ২১ জানুয়ারি ছিল আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস। ওইদিন নওশাদের নেতৃত্বে দুর্নীতি-সহ একাধিক ইস্যুতে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু হয় কলকাতার রাজপথে। ধর্মতলায় আইএসএফের সেই কর্মসূচি চলার সময় পুলিশের উপর হামলা এবং সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর-সহ একাধিক অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ভাঙড়ের বিধায়ক নওসাদ-সহ ১৮ জনকে। ধৃত এক নাবালককে জামিন দেওয়া হলেও তারপর থেকে জেলেই রয়েছেন নওসাদ-সহ অন্যরা। ব্যাঙ্কশাল কোর্ট ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।

এরইমধ্যে ভাঙড়ের হাতিশালায় তৃণমুলের পার্টি অফিস ভাঙচুর, আগুন দেওয়া, তৃণমূল কর্মীদের মারধরের অভিযোগে শুক্রবার বারুইপুর আদালতে তোলা হয় নওসাদকে। বারুইপুর আদালতে ঢোকার মুখে নওশাদ বলেন, ‘‘শাসকদলের ভোট ব্যাঙ্ক নষ্ট হচ্ছে। সেটা রুখতেই এই গ্রেফতারি। গরিব মানুষের এই লড়াই চলবে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে হারের ভয় পাচ্ছে শাসকদল। তাই আমাকে আটকে রাখার চেষ্টা চলছে।’’

এদিন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “ঘটনাস্থল এসপ্ল্যানেড, তাহলে লেদার কমপ্লেক্স থানা কেন তাঁকে হেফাজতে চাইবে! উল্টে ওই থানা এলাকায় নওসাদ সিদ্দিকির উপরেই হামলা হয়েছিল। তাঁর গাড়ি ভাঙচুর হয়েছিল। তাতে যারা অভিযুক্ত তাদের গ্রেফতার না করে উল্টে নওসাদকেই হেফাজতে চাওয়া হচ্ছে। এখানে শাসকদলের উদ্দেশ্যটা খুবই পরিষ্কার।”

‘মদের দোকানের সামনে গরু বেঁধে দেব, ওসব না খেয়ে দুধ খান’, ফের উমার গো-দাওয়াই

You might also like