Latest News

শিক্ষক বদলির নিয়মে পরিবর্তন আনার দাবি সংগঠনের

দ্য ওয়াল ব্যুরো: সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রাম। উজ্বল চোখমুখের খুদে পড়ুয়া। হয়ত কলকাতা থেকে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা এসেছেন তাঁদের পড়াতে। পড়ুয়ারা আর স্কুল কামাই করছে না। উৎসাহে ক্লাস চলছে। আচমকা তিনি ‘‌উৎসশ্রী’‌তে আবেদন করলেন, তারপর নিজের এলাকায় ফিরে গেলেন। পড়ুয়ারা আবার স্কুলে অনিয়মিত হতে শুরু করল। আবার নতুন শিক্ষক বা শিক্ষিকা। তাই উৎসশ্রীর বদলি পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষক–শিক্ষিকাদের অনেকেই। তাঁদের প্রশ্ন সবাই শহরে চলে গেলে গ্রামের ছেলেমেয়েদের পড়াবে কারা?‌ পাশাপাশি এখনও ওই প্রকল্পের বিষয়ে উপযুক্ত নির্দেশিকাই প্রকাশ করা হয়নি। কীসের ভিত্তিতে তাঁরা আবাদেন করবেন!‌ এমনটাই অভিযোগ বহু শিক্ষক–শিক্ষিকার। তাই আজ, বুধবার বদলি পদ্ধতি নিয়ে জটিলতা দূর করার দাবি জানালেন তাঁরা।

আবেদনকারীদের দাবি, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক চলে গেলে স্কুলের সমস্যা হয়। তাই ছাত্র–শিক্ষক অনুপাত সঠিক ভাবে বজায় রাখতে গেলে গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলির ক্ষেত্রে বদলি পদ্ধতিতে সরকারকে আলাদাভাবে ভাবা উচিত।

স্কুলগুলি বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে, এই ট্রান্সফার পদ্ধতিতে প্রধান শিক্ষকদের বিরাট সমস্যায় পড়তে হবে। তাই ট্রান্সফারের সাথে সাথে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ, উপযুক্ত শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার দাবী জানানো হয়।

করোনার কারনে ৩৭ জন প্রধান শিক্ষক–শিক্ষিকার অকাল প্রয়াণ সম্পর্কেও জানানো হয়। অন্য কাজ থেকে প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অব্যাহতি দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে দাবী জানানো হয় এদিন।

‘‌আ্যডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস’‌ রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার মাইতির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বিকাশভবনে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারী এবং কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশন অনিন্দ্য নারায়ণ বিশ্বাসের সঙ্গে দেখা করে। শিক্ষা ও তার ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা হয়। জানানো হয়, প্রধান শিক্ষকদের ক্ষেত্রে ৫ বছরের লকইন পিরিয়ড শিথিল করা হোক।

পাশাপাশি জানানো হয়, বদলির সঙ্গে সঙ্গেই দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে গ্রামের স্কুলগুলিতে।

এরপর প্রতিনিধিদলটি বিদ্যাসাগর ভবনে গিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাসের সঙ্গে কথা বলেন। সংসদ সমস্ত ফলাফল যা বিদ্যালয় গুলি সংশোধন বা স্ক্রুটিনির জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে পাঠিয়েছেন, তার জন্য দ্রুত লিস্ট বের করার আশ্বাস দিয়েছে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন ড. শান্তনু মন্ডল, অম্বরীশ কুমার দত্ত, ড. ভূপাল প্রসাদ চক্রবর্তী, দীপক কর, মিলন সেন, বিষ্ণুপদ শিট, ঋত্বিক কুন্ডু, দীপান্বিতা সরকার, পিয়ালী গোস্বামী প্রমুখ।

 

You might also like