Latest News

স্কুল বন্ধ, তাতে কী! গাছের তলায় ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষক

করোনা আবহে স্কুল বন্ধ ছমাস। কিন্তু তা বলে থেমে নেই পড়াশোনা। আদিবাসী পাড়ায় গিয়ে পড়ুয়াদের পাশে শিক্ষক। রইল ভিডিও।

দ্য ওয়াল ব্যুরো, পশ্চিম বর্ধমান:   করোনার জন্য ইস্কুল বন্ধ। কিন্তু তা বলে থেমে নেই পড়াশোনা৷ খোলা প্রকৃতির বুকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই চলছে নিয়মিত ক্লাস। এমনই চমকপ্রদ ঘটনার সাক্ষ্য রইলেন আসানসোল জামুরিয়ার মানুষ। জামুড়িয়া থানার শিল্পা মাজি আদিবাসী স্কুলের শিক্ষক দীপ নারায়ণ নায়েক নিজের উদ্যোগে স্থানীয় আদিবাসীপাড়ায় গিয়ে সেখানকার ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করানোর গুরুভার কাঁধে তুলে নিয়েছেন। তারই তত্ত্বাবধানে চলছে নিয়মিত পঠনপাঠন।

করোনা সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সরকারি- বেসরকারি সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে গত ছমাস ধরে। কবে থেকে আবার এ রাজ্যের পড়ুয়ারা আগের মতো ক্লাস করতে পারবেন তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না রাজ্যের শিক্ষাদফতরও। একটা বছর নষ্ট হওয়ার আতঙ্কে অসহায় দিন কাটাচ্ছেন পড়ুয়াদের অভিভাবকেরাও। শহরের দিকের স্কুলগুলিতে বাড়ি বসে অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা থাকলেও বিপাকে পড়েছে গ্রামের গরীব ছেলেমেয়েরা।

দীপনারায়ণবাবু সাংবাদিকদের জানান স্থানীয় আদিবাসী স্কুলের শিক্ষক তিনি। স্কুলের পড়ুয়াদের প্রত্যেক সপ্তাহে সরকারি চাল ডাল দিতে এসে দেখেন পড়াশোনা ছেড়ে স্কুলের ছেলেমেয়েরা মাঠে গরু ছাগল চড়াচ্ছে। এমনিতেই আর্থিক কষ্টের মধ্যে দিন গুজরান করে বহু কষ্টে পড়াশোনা চালায় এই আদিবাসী বাচ্চারা। কিন্তু লকডাউনে স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের সেই পড়াশোনাও বন্ধ হয়ে যাওয়ার মুখে।
বর্তমানে সরকার বিভিন্ন স্কুলে অনলাইন পাঠক্রম চালু করেছেন ঠিকই কিন্তু জামুরিয়া অঞ্চলের গরীব আদিবাসী পরিবারের ছেলেমেয়েদের অনলাইন ক্লাস করার মতো আর্থিক সংগতি নেই। এর ফলে তারা ক্রমশই শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পিছিয়ে পড়ছে।

নিজের উদ্যোগে শিক্ষক দীপ নারায়ণবাবু বিভিন্ন আদিবাসী পাড়ায় গিয়ে কখনো রাস্তায় বা গাছের নীচে বসে স্কুলের পড়ুয়াদের ক্লাস নিচ্ছেন। পড়ানোর পাশাপাশি তাদের প্রোটিন খাবারের ব্যবস্থাও করছেন। শেখাচ্ছেন যোগাসন। পাশাপাশি আদিবাসী গ্রামগুলিতে করোনা ভাইরাস সম্বন্ধে সচেতনতা বাড়ানোর ব্যাপারেও হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এই ব্যতিক্রমী শিক্ষক।

You might also like