
এদিন সকালে টুইটে তথাগত রায় লিখেছেন, “তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা যে সব নেতা আবার তৃণমূলে ফিরে গেছেন তাঁদের সম্বন্ধে আমি প্রয়াত সিপিএম নেতা হরেকৃষ্ণ কোঙারের একটি মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি করছি। ‘মল মূত্র ত্যাগ করলে মানুষ দুর্বল হয় না, সবলই হয়’। ১৯৬৪ সালে যখন কম্যুনিস্ট পার্টি ভাঙে তখন সিপিআই নেতাদের সম্বন্ধে এই উক্তি।”
তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা যে সব নেতা আবার তৃণমূলে ফিরে গেছেন তাঁদের সম্বন্ধে আমি প্রয়াত সিপিএম নেতা হরেকৃষ্ণ কোঙারের একটি মন্তব্যের পুনরাবৃত্তি করছি। ”মল মূত্র ত্যাগ করলে মানুষ দুর্বল হয় না, সবলই হয়”। ১৯৬৪ সালে যখন কম্যুনিস্ট পার্টি ভাঙে তখন সিপিআই নেতাদের সম্বন্ধে এই উক্তি।
— Tathagata Roy (@tathagata2) June 11, 2021
হরেকৃষ্ণ কোঙার ছিলেন কৃষক আন্দোলনের নেতা। তাঁর ভাষণ একটা সময়ে গ্রাম বাংলায় আলোড়ন তুলত। মতাদর্শগত ভাবে কমিউনিস্ট শিবিরের একেবারে বিপরীত দিকের হলেও, তৃণমূলে ফিরতে চলা নেতাদের আক্রমণ করতে সেই মেমারির কৃষক নেতার বক্তব্যকেই হাতিয়ার করলেন তথাগত।
তথাগতবাবু সকালে যখন এই টুইট করেছেন, তখনও মুকুল রায়ের কালীঘাটে গিয়ে মমতার সঙ্গে দেখা করার খবর সামনে আসেনি। তবে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ যে নেতারা ইতিমধ্যেই উল্টো সুরে গান গাইছেন তাঁদের উদ্দেশ্য করেই মূলত এই টুইট করেছিলেন ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের রাজ্যপাল। তা ছাড়া মুকুলবাবুর সঙ্গে বিজেপির যে দূরত্ব বাড়ছিল তাও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল। তৃণমূলের কাছে আসার ছবিটাও আড়াল করা যাচ্ছিল না।
ইতিমধ্যেই, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতো বিজেপি সাংসদরা বলা শুরু করেছেন, যাঁরা তৃণমূলে যাবেন তাঁরা যেন দ্রুত বিদায় নেন। আবার নতুন করে লড়াই শুরু করবে বিজেপি। তথাগত সেটাই বললেন। তবে আরও কড়া করে।