
এদিন নদিয়ার প্রশাসনিক বৈঠকে জেলা প্রশাসনের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, করিমপুর সহ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে প্রশাসনকে সজাগ থাকতে হবে। বিডিও, এসডিও সকলকেই জেলাশাসক, পুলিশ সুপারের সঙ্গে সমন্বয় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার হলে মেনে নেব না।
এই দফার জেলাসফরে মমতা যে যে জেলাগুলিতে যাচ্ছেন তার সবকটিই সীমান্তবর্তী। আন্তর্জাতিক সীমান্তের পাশাপাশি পড়শি রাজ্যের সীমান্ত জেলাও রয়েছে। সবকটি জেলার প্রশাসনিক বৈঠকেই প্রশাসনকে বিএসএফ নিয়ে সতর্ক করেছেন মমতা। আর মুখ্যমন্ত্রীর ধারাবাহিক এই বক্তব্যকেই বিভাজন তৈরির চেষ্টা বলে তোপ দেগেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু টুইট করে বলেছেন, যিনি একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, যিনি সংবিধানের নামে শপথ নিয়েছেন, তিনিই কিনা সংবিধান স্বীকৃত বাহিনীকে অপমান করছেন। যাঁরা দেশকে নিরাপত্তা দেয়, সেই বিএসএফের সঙ্গে পুলিশের বিভাজন তৈরি করছেন। রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতির বিষয়টি দেখা উচিত বলেও টুইটে লিখেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
She is a repeat offender, wilfully trying to drive a wedge between @BSF_India & @WBPolice.
Kindly request @PMOIndia, @HMOIndia, @DefenceMinIndia to take this into cognizance. WB Governor @jdhankhar1 ji, please apprise Hon'ble @rashtrapatibhvn regarding this matter. pic.twitter.com/4JxZjSKQJr— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) December 9, 2021
মাস কয়েক আগেই বিএসএফের এলাকাবৃদ্ধি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আগে বিএসএফ সীমান্ত থেকে ১৫ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত তল্লাশি, জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারত। এখন তা ৩৫ কিলোমিটার বাড়িয়ে ৫0 কিলোমিটার পর্যন্ত বিএসএফের এক্তিয়ারে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাকে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিরোধী বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। বাংলার বিধানসভায় এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে প্রস্তাবও পাশ হয়েছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে নদিয়ার কৃষ্ণনগর, রানাঘাটের মতো শহরগুলিতেও বিএসএফ এখন ঢুকতে পারবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে এ ব্যাপারে প্রতিবাদও জানিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু সেই বিএসএফ দ্বন্দ্ব নিয়েই একদিকে যেমন মমতা জেলা প্রশাসনগুলিকে সতর্ক করে যাচ্ছেন তেমনই শুভেন্দুও এটাকে বিভাজন হিসেবে তুলে ধরতে চাইলেন।