
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দীনেশ ত্রিবেদীর ফাঁকা হওয়া আসনে প্রাক্তন আমলা জহর সরকারকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে চমক দিয়েছিলেন দিদি। মানস ভুঁইয়ার আসনেও চমক অব্যাহত। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রয়াত সন্তোষ মোহন দেবের মেয়ে সুস্মিতা দেবকে (Susmita Dev) রাজ্যসভায় মনোনীত করল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)।
রাজ্যের পরবর্তী অ্যাডভোকেট জেনারেল গোপাল মুখোপাধ্যায়
মাস দেড়েক আগেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন সুস্মিতা। তারপর অসম ও ত্রিপুরায় মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন সুস্মিতা। এবার তাঁকেই সংসদের উচ্চকক্ষে পাঠাল তৃণমূল।
We are extremely pleased to nominate @SushmitaDevAITC to the Upper House of the Parliament.@MamataOfficial's vision to empower women and ensure their maximum participation in politics shall help our society to achieve much more!
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) September 14, 2021
সুস্মিতা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই বলছিলেন, তাঁর ধ্যানজ্ঞান এখন একটাই- তা হল অসম ও ত্রিপুরায় তৃণমূলের সংগঠন বিস্তার। সন্তোষ কন্যা এও বলেছেন, আমি কিন্তু সংগঠনের লোক। আমি সেটাই করতে চাই। তবে শিলচরের ভূমিকন্যাকে বাংলা থেকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে উত্তর-পূর্বের রাজনীতিতে রাজনৈতিক ভাবে তৃণমূল বার্তা দিতে চাইল বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকদের অনেকে।
অসম এবং ত্রিপুরাকে যে তৃণমূল ‘প্রায়োরিটি স্টেট’ হিসেবে দেখছে তা আগেই স্পষ্ট হয়েছে। সুস্মিতা শিলচরের মেয়ে হলেও ত্রিপুরার সঙ্গে তাঁর যোগ অনেকদিনের। সন্তোষবাবু পশ্চিম ত্রিপুরা থেকে জিতে একসময় কেন্দ্রে মন্ত্রী হয়েছিলেন। সেইসময় বাবার হাত ধরে ত্রিপুরা যেতেন তিনি। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেও একদা মহিলা কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভানেত্রী সেকথা বলেছিলেন।
পর্যবেক্ষকদের মতে, সুস্মিতাকে রাজ্যসভায় পাঠানোর অর্থ একটাই- অসম ত্রিপুরার রাজনীতিতে বার্তা দিল বাংলার শাসকদল। তাছাড়া, সাংসদ হিসেবে সুস্মিতা যখন অসম, ত্রিপুরা চষে বেড়াবেন তখন হিমন্ত বিশ্বশর্মা ও বিপ্লব দেব সরকারকেই তাঁর নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে হবে। ফলে লজিস্টিক সাপোর্টটাও যে দুই বিজেপি শাসিত রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ তা হয়তো বুঝতে পেরেই সুস্মিতাকে সংসদের উচ্চকক্ষে পাঠাল কালীঘাট।
দলের মধ্যে সমাজকর্মী সাকেত গোখেলের নাম নিয়েও জল্পনা ছিল। তবে দেখা গেল শেষ পর্যন্ত সুস্মিতার নামেই সিলমোহর দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সুস্মিতাকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে মমতা প্রয়াত সন্তোষ মোহন দেবের কাছে ঋণ পরিশোধ করলেন। মমতার সিপিএম বিরোধী আন্দোলন, কংগ্রেসের অভ্যন্তরে লড়াইয়ের দিনগুলিতে সন্তোষ মোহন সব সময় পাশে থেকেছেন। মমতা যখনই ডাকতেন পাশে থাকতেন সন্তোষ মোহন।
তাছাড়া তৃণমূলের তরফে উত্তরপূর্ব ভারতের কথা সংসদে বলার লোক পাঠালেন মমতা। এতে ত্রিপুরা-সহ উত্তর পূর্ব ভারতের তৃণমূলের সুবিধা হতে পারে। বিশেষ করে ত্রিপুরা ও অসমে।