
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নরেন্দ্র মোদী সরকারের তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লি অবরোধ করেছিলেন আন্দোলনরত কৃষকেরা। চাপের মুখে তিন আইন ফিরিয়ে নিয়ে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এবার বাংলাতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের বিরুদ্ধে তেমনি আন্দোলনে নামার পরামর্শ দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। তাঁর বক্তব্য দিল্লি অবরোধ করা গেলে কলকাতাতেও তা করা সম্ভব।
বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগরে সিপিএমের নদীয়া জেলার সম্মেলনের উদ্বোধন করে সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, এখন আর কেবলমাত্র ডেপুটেশন দিয়ে ফিরে আসার সময় নয়। প্রতীকী প্রতিবাদেও হবে না। সাধারণ মানুষকে নিয়ে লড়াইয়ের ময়দানে দাবি আদায় করে তবেই বাড়ি ফিরতে হবে। মানুষের ভরসা আদায় করতে হবে। বিশ্বাস বাড়াতে হবে। এখন থেকেই তার প্রস্তুতি শুরু করুন।
তিনি আরও বলেন, দেশের কৃষকরা রাজধানী দিল্লিতে গিয়ে যদি সফল হতে পারেন, এখানে আমরাও তো পারব। এর কোনও বিকল্প নেই। সূর্যর বক্তব্য, দিল্লি অবরুদ্ধ করা গেলে কলকাতাতেও করা সম্ভব। সেই অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে একটি দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার রয়েছে। এই সরকার দুর্নীতির পাহাড়ের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। গরিব খেটে-খাওয়া মানুষের ক্ষোভ রয়েছে। তাদের ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ করতে গেলে কাগজে-কলমে কিছু কর্মসূচি নিলেই হবে না।
রাজ্য সম্পাদকের এই বক্তব্য নিয়ে সিপিএমের অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, রাজ্য সম্পাদকের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার আগে নতুন নেতৃত্বের জন্য আন্দোলনের নয়া রাস্তা বাতলে দিলেন সূর্য। এখন দেখার পার্টি কী কর্মসূচি নেয়।
প্রসঙ্গত, কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে হওয়া আন্দোলনের একেবারে সামনের সারিতে ছিলেন সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য হান্নান মোল্লা। তিনি কৃষক আন্দোলনের সাফল্য তুলে ধরে প্রকাশ্যেই বাংলার পার্টিকে বলেছিলেন, শুধু অভিযান আর ডেপুটেশন দিলে হবে না। রাস্তা আটকে বসে পড়তে হবে। পুলিশের লাঠি, গুলি খেতে হবে। অনুরোধ-উপরোধ করে দাবি আদায় সম্ভব নয়।