Latest News

সুব্রত যাত্রার টিকিট পাঠিয়েছিলেন বিমানকে, স্মৃতিচারণায় বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান

দ্য ওয়াল ব্যুরো: তখন লড়াই টানটান। বাংলা তখন অগ্নিগর্ভ। এক দিকে বিমান বসুরা বাম ছাত্র আন্দোলনের নেতা। অন্যদিকে প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সি, সুব্রত মুখোপাধ্যায়রা কংগ্রেসি ছাত্র আন্দোলনের নক্ষত্র। সেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে রাজনৈতিক লড়াই, মতাদর্শগত দূরত্বকে দূরে ঠেলে ব্যক্তিগত স্তরে তাঁদের সম্পর্কের কথা তুলে ধরলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু।

এদিন ঝাড়গ্রামে বিমান বসু বলেন, “সেটা ১৯৭২ সাল। আমাদের পার্টির উপর আক্রমণ হচ্ছে। আমি তখন এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেইসময়ে সুব্রতরা এক মাস ধরে যাত্রা উৎসব করেছিলেন। আমি বাইরে ছিলাম কর্মসূচির জন্য। ফিরে এসে কলকাতায় এসএফআই অফিসে দেখি এক গুচ্ছ টিকিট পাঠিয়ে দিয়েছেন। তাতে ৩০ দিনের টিকিটই ছিল।”

বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা বলেন, রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও সুব্রতর কথাবার্তা ছিল অন্য ধাঁচের। তিনি এও বলেন, “প্রথমবার সুব্রতবাবু ১৯৭১ সালে বালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। আমার বাড়িও ছিল বালিগঞ্জ কেন্দ্রের মধ্যেই। উনি শুরুতে আমার বাড়ির পাশেই একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।” অর্তাহৎ অল্প সময় হলেও, বিমান আর সুব্রত ছিলেন প্রতিবেশী। পরে অবশ্য বিমানবাবু বাড়ি ছেড়ে পার্টি কমিউনেই থাকতেন।

এমনিতে বিমান বসুকে বলা হয় এনসাইক্লোপিডিয়া। দলের নেতাকর্মী তো বটেই। অন্য দলের সমসাময়িক নেতানেত্রীদের ঠিকুজিকুষ্টিও তিনি বলে দিতে পারেন অবলীলায়। সুব্রতবাবুর সম্পর্কেও তাঁর অন্যথা হল না। প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বজবজে থাকা, বালিগঞ্জে আসা, তারপর যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন সেই বাড়ি কিনে নিয়ে পাকাপাকি সেখানেই থেকে যাওয়া, সুব্রতবাবুর বিয়ে—সবই বললেন ঝাড়গ্রাম পার্টি অফিসে বসে। এও বললেন, সুব্রতবাবুর মৃত্যু বাংলার রাজনীতিতে শূন্যতা তৈরি করল।

You might also like