
ভাই দেবব্রত মুখোপাধ্যায়ের ছেলে অঙ্কিত মুখাগ্নি করেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। সঙ্গে ছিলেন ভাগ্নে সৌম্যব্রত চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন বোন তনিমা চট্টোপাধ্যায়-সহ অন্য ভাইবোনেরা। প্রয়াত মন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সৌগত রায়, সুজিত বসু, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষ-তৃণমূলের প্রথম সারির প্রায় সব নেতা-মন্ত্রী।
আগেই পৌঁছে অপেক্ষায় ছিলেন অভিষেক। মরদেহ কেওড়াতলা মহাশ্মশানে পৌঁছতেই তিনি-সহ অন্য নেতা-মন্ত্রীরা একে একে ফুলের স্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। বাইরে তখন অগণিত অনুগামী।
এদিন শ্মশানে প্রথম থেকেই হাজির ছিলেন মালা রায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যেরা। বেশ কিছুদিন যাবত অসুস্থ থাকলেও তাঁর এই অকস্মাৎ মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে রাজনৈতিক মহলে। সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের গলাতেও হা-হুতাসের সুর। কেউই মেনে নিতে পারছেন না রসিক, মানুষটির চলে যাওয়া।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ কেওড়াতলা মহাশ্মশানে পৌঁছায় প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মরদেহ। দেওয়া হয় গান স্যালুট। এর পরই শুরু হয় শেষকৃত্য।
রবীন্দ্র সদন থেকে বিধানসভা, তার পরে বালিগঞ্জ হয়ে কেওড়াতলা মহাশ্মশান পর্যন্ত শেষযাত্রায় শামিল হন অগণিত সুব্রত-অনুরাগী, পরিবার-পরিজনরা। ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে মালা দেওয়ার পর পা ছুঁয়ে প্রয়াত মন্ত্রীকে প্রণাম করেন অভিষেক।
এদিন বিধানসভা থেকে একডালিয়ার বাড়িতে পৌঁছায় প্রয়াত মন্ত্রীর মরদেহ। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ শায়িত থাকার পর তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাবে। এই ক্লাব এবং ক্লাবের পুজোর সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে গিয়েছে তাঁর নাম। শেষ বারের মতো প্রিয় নেতাকে চোখে দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন তাঁর অগণিত অনুরাগী।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে রবীন্দ্র সদনে রাখা ছিল প্রাক্তন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দেহ। সেখান থেকে তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বিধানসভায়। সেখানে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিধায়করা উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে। উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।
কোভিড বিধির কড়াকড়ির জন্য শ্মশানে এদিন বেশি লোকজনকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। দলীয় নেতা-মন্ত্রী, পরিবার ও ঘনিষ্ট মানুষজনকেই ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়। যেকারণে অনেকেই প্রিয় নেতাকে শেষবারের মতো দেখতে পাননি। শ্মশানের গেটের সামনে টাঙানো ব্যানরের ছবিতেই প্রণাম করে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।