
হলদিবাড়ি থানার পুলিশ ওই যুবককে উদ্ধার করে প্রথমে হলদিবাড়ি হাসপাতাল ও পরে সেখান থেকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসে। ওই যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।
মদনের পরিবারের অভিযোগ একটি মোবাইল চুরির ঘটনায় মদন রজক ও তার আত্মীয় আকাশ সফিকে গত কয়েকদিন ধরে থানায় হাজিরা দিতে হচ্ছিল। প্রতিদিন তাদের সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত থানায় বসে থাকতে হত। প্রতিদিনই জুটতো পুলিশের গালমন্দ। মদনের পরিবরের সদস্যরা জানান, শনিবার দুপুরে তারা যখন বাইকে চেপে হলদিবাড়ি শহরের রাস্তা দিয়ে আসছিল সেই সময় পুলিশ তাদের মোটরবাইক আটকে মারধর করে এবং বাইক ভেঙে দেয়। এরপর তারা বাড়ি ফিরে গিয়ে সব ঘটনা খুলে বলে।
তারপরেই পরিবার ও পড়শিদের অনেকে মিলে থানায় উপস্থিত হয়। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে বচসা। এরপর পুলিশ তাদের ওপর বেধড়ক লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। তখনই মদন রজক থানার পিছন দিকে গিয়ে গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
ওই যুবকের মা আশা রজক বলেন, ‘‘আমরা থানায় প্রতিবাদ জানাতে গিয়েছিলাম। থানার ভেতর পুলিশ আচমকাই আমাদের উপর চড়াও হয়। আমাদের লাঠিপেটা করতে থাকে। আমরা বাঁচবার জন্য যে যার মতো পালাতে থাকি। তখনই আমার ছেলে গায়ে আগুন দেয়। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’’
ওই যুবকের দাদা আকাশ সফি বলেন, ‘‘আমাদের প্রতিদিন থানায় হাজিরা দিতে হচ্ছিল। আর এতেই আতঙ্কিত ছিলাম আমরা। তার উপর আজকে গন্ডগোল হওয়ার পর সন্ধ্যাবেলায় হাজিরা দিতে গেলে কপালে নির্ঘাত পুলিশের মার জুটবে। এই ভেবে আমার ভাই গায়ে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে।’’
পুলিশ তাকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়েছে বলে অভিযোগ করে মদন রজক।
কোচবিহারের পুলিশ সুপার কে কান্নান বলেন, ‘‘হলদিবাড়ি থানায় একটি ঘটনা ঘটেছে। তবে কী কারনে ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হবে। তবে পুলিশ ওই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তার চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা করেছে।