
৫৫ বছর পর চালু ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত রেলপথ, যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর ভাবনা
এখন হলদিবাড়ি থেকে ট্রেনে চেপে শিয়ালদহ পৌঁছাতে ১৪ ঘন্টা সময় লাগে। এই লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করলে মাত্র ছয়- সাত ঘন্টার মধ্যেই কলকাতায় পৌঁছনো যাবে বলে জানা যাচ্ছে। এরফলে বাংলাদেশের পর্যটকরাও এই রেলপথে অনেক সহজেই ভারতে যাতায়াত করতে পারবেন।
দ্য ওয়াল ব্যুরো, জলপাইগুড়ি: দীর্ঘ ৫৫ বছরের অপেক্ষার অবসান। অবশেষে চালু হল ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত রেলপথ। খুশির হাওয়া দুই দেশে।
১৯৬৫ সালে ভারত পাক যুদ্ধ আবহে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এই রেলপথ। ৭১ সালে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম। তার ৫০ বছরপূর্তির বিজয় দিবসের ঠিক পরের দিন এই রেলপথ চালু হওয়ায় বাধভাঙা আনন্দে মাতল দুই দেশ। হলদিবাড়ি-চিলাহাটি হয়ে ভারত-বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক রেলপথে ফের ট্রেন চলাচল শুরু হল। প্রায় সাড়ে পাঁচ দশক পর দুই দেশের মধ্যে ফের নতুন করে রেল যোগাযোগ স্থাপন হল। এই রেলপথ ধরে স্থায়ীভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর দাবি জানালেন সর্বস্তরের মানুষ।
আন্তর্জাতিক এই রেল যোগাযোগ স্থাপন হওয়ায় নতুন করে আশার আলো দেখছেন জলপাইগুড়ি ও হলদিবাড়ি শহরের মানুষ। জানা গেছে প্রাথমিকভাবে এই লাইনে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করলেও পরবর্তীতে চিলাহাটি হয়ে কলকাতা পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেনও চলাচল করবে। দার্জিলিং মেল ও তিস্তা তোর্ষার মত কলকাতাগামী ট্রেনগুলোও এই রুট দিয়েই চলবে আগামীদিনে। যার ফলে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে অনেক কম সময়ের মধ্যেই শিয়ালদহ পৌঁছে যাওয়া যাবে।
এখন হলদিবাড়ি থেকে ট্রেনে চেপে শিয়ালদহ পৌঁছাতে ১৪ ঘন্টা সময় লাগে। এই লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করলে মাত্র ছয়- সাত ঘন্টার মধ্যেই কলকাতায় পৌঁছনো যাবে বলে জানা যাচ্ছে। এরফলে বাংলাদেশের পর্যটকরাও এই রেলপথে অনেক সহজেই ভারতে যাতায়াত করতে পারবেন। নতুন এই রেল যোগাযোগ স্থাপন নিয়ে আশায় বুক বাঁধছেন জলপাইগুড়ি ও হলদিবাড়ির মানুষ। আন্তর্জাতিক এই রেলপথ চালু হলে গোটা উত্তরবঙ্গের মানুষ উপকৃত হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
রেল দফতর সুত্রে জানা গেছে, আজ দুই দেশের মধ্যে হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেলপথের ট্রায়াল ছিল। খুব ভালভাবে এই ট্রায়াল শেষ হয়েছে। এদিন বাংলাদেশ থেকে আসা রেল দফতরের আধিকারিকদের স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন এডিআরএম (এনজেপি) সুরেশ কুমার। হলদিবাড়ি স্টেশনে ফুলের মালা পড়িয়ে তাদের স্বাগত জানানো হয়।
৫৫ বছর পর রেল যোগাযোগ শুরু হওয়ায় হলদিবাড়ি স্টেশনে উপস্থিত বিজেপি কর্মীদের এদিন বাধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে ভাসতে দেখা যায়।