
বর্ধমানের কার্জনগেট চত্বরে আলু ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে ২৭ টাকা কিলো দরে আলু বিক্রি করা হচ্ছে। সমিতির সদস্য বিষ্ণু দত্ত বলেন, ‘‘প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত আমরা আলু বিক্রির ব্যবস্থা করেছি। একজন ২৭ টাকা কিলো দরে একবারে ২ কেজি আলু কিনতে পারবেন। তবে অনেকেই চাপাচাপি করায় তিন কিলো আলু দিতে হচ্ছে। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে কমদামে আলু বিক্রির কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। দুর্গাপুজো পর্যন্ত এইভাবেই আলু বিক্রি চালু থাকবে।’’
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর দু’একদিন বাজারে টাস্কফোর্সের সদস্যরা ঘোরাঘুরি করলেও আলুর দামে কোনও হেরফের হয়নি। শহরের তেঁতুলতলা বাজার থেকে নীলপুর কিংবা বীরহাটা বাজার সর্বত্রই আলু বিক্রি হচ্ছে চড়াদামে। জ্যোতি আলুর পাশাপাশি চন্দ্রমুখী আলুর দাম এখন সাধারণের নাগালের বাইরে। ৪৫ টাকা বা তার বেশি দামে আলু বিক্রি হচ্ছে খোলা বাজারে।
মাস খানেক আগে আলুর দাম বেড়ে যাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের বলেছিলেন, আলুর দাম এই ভাবে বাড়ানো যাবে না। ২৫ টাকা কিলো দরে আলু বিক্রির নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হয়নি। বেড়ি পড়ানো যায়নি আলুর দামে। বাজার আলুর পাশাপাশি বিভিন্ন সবজির দামও এখন বেশ আকাশছোঁয়া। পটল থেকে ঢেঁড়শ কিম্বা টোম্যাটো সবেরই দামে নাভিশ্বাস সাধারণ গৃহস্থের।