
দ্য ওয়াল ব্যুরো, উত্তর দিনাজপুর: ১৯ দিন ধরে করনদিঘি পঞ্চায়েত সমিতি দফতর তালা বন্ধ রাখার পর, করণদিঘি বিডিও অফিসের গেটে তৃণমূলের ঝান্ডা লাগিয়ে আন্দোলন শুরু করল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মহাঃ কামরুজ্জামান, সহকারী সভাপতি স্যামুয়েল মার্ডি সহ করনদিঘি পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমুল কংগ্রেস দলের বেশীরভাগ সদস্যরা।
ব্লকের বিডিও একতরফা ভাবে নিজে সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ব্লকের উন্নয়ন ব্যহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন পঞ্চায়েত সদস্যরা। আর এই অভিযোগেই ২৮ শে অগষ্ট করণদিঘি ব্লকের বিজেপি (১৫), বাম-কংগ্রেস জোট (৪) ও তৃণমুল কংগ্রস (১৯) দলের মোট ৩৮ জন সদস্যদের মধ্যে ৩৬ জন সদস্য একসঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে তালা ঝোলান। তৃণমূল কংগ্রেস দলের দুই সদস্য এই আন্দোলনে যোগদান করেননি। বিডিও কাজকর্মের প্রতিবাদ জানিয়ে একটি কাগজে সব আন্দোলনকারীরা সিল সহ স্বাক্ষর করে ইসলামপুর এসডিওকে চিঠি দেন। সেই চিঠির কপি রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানি ও কেন্দ্রের প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী সহ উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক ও করণদিঘির বিধায়ককে দেওয়া হয়। সেদিন বিডিও বিজয় মোক্তান দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগই ভিত্তিহীন। সুনির্দিষ্ট ভাবে কোনও অভিযোগ জানাতে পারছেন না আন্দোলনকারীরা।
মঙ্গলবার পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি ও বাম কংগ্রেস জোটের সদস্যদের বাদ দিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমুল কংগ্রেস দলের সদস্য সদস্যারা আন্দোলনে নামে। বিডিও অফিসের গেট তৃণমুল কংগ্রসসের ঝান্ডা লাগিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মহাঃ কামরুজ্জামান দাবি করেন, ‘‘আমরা কারও কোনও অসুবিধা করে আন্দোলন করছি না।’’
সহকারী সভাপতি স্যামুয়েল মার্ডি এদিনও বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনেন বিডিওর বিরুদ্ধে৷ তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরেই করণদিঘির বিডিও তাঁদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা না করে নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তাই গোটা এলাকার উন্নয়ন ব্যহত হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত সমিতির সমস্ত সদস্য বিডিওর এই মনোভাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এরমধ্যে কোনও রাজনীতি নেই।’’
শাসকদলের সদস্যদের আন্দোলনের জেরে বিডিও অফিস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিডিও বিজয় মোক্তান আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। মহকুমাশাসকের পক্ষে একজন ম্যাজিস্ট্রেটও এই বৈঠকে উপস্থিত হন। বিডিওকে বদলি না করা হলে আন্দোলন আরও জোরদার করার হুমকি দিয়েছেন ওই পঞ্চায়েত সদস্যরা। এই ঘটনায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে জেলা তৃণমুল।