বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটে নাগাদ প্রবল বেগে ঝড় বইতে শুরু করে। সঙ্গে বৃষ্টি ও বজ্রপাত। হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় প্রাণ হারান তিনজন। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক এলাকার বারদুয়ারি দক্ষিণ রামনগর গ্রামের মিঠু কর্মকার(৩৩) মাঠে কাজ করছিলেন। বজ্রাঘাতে সেখানেই প্রাণ হারান তিনি।
পাশেই বাইশা গ্রামের পিনু ওঁরাও (৫৭) ঝড়ের সময় আমবাগানে ছিলেন। বজ্রাঘাতে মারা যান তিনিও। হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা সুলতান আহমেদও (২৩) এদিন বজ্রপাতে নিহত হন। দুপুরবেলা তিনিও মাঠে কাজ করছিলেন। বজ্রাঘাতে আহত হয়েছেন রামনগর এলাকার বাসিন্দা কৃষ্ণ সাহা (২২)। তাঁকে প্রথমে হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি ঘটায় তাঁকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
নিহত সুলতান আহমেদের দাদা বরজাহান আলি বলেন, ‘‘আমার ভাই ঝড়ের সময় বাড়ির পিছনের জমিতে কাজ করছিল। খুব কাছেই বাজ পড়ে। জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ও। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।’’
হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায় বাজ পড়ে একসঙ্গে তিনজনের মৃত্যুতে এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।