
বিক্রেতারা জানান, বেশি দামে আলু কিনতে হচ্ছে তাঁদের। তাই বাধ্য হয়েই ক্রেতাদের থেকে বেশি দাম নিতে হচ্ছে তাঁদের। এদিন টাস্ক ফোর্সের সদস্যেরা স্টেশন বাজার; তেঁতুলতলা বাজার সহ বেশ কয়েকটি বাজারে যান। কয়েকদিন আগেই আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমঘরেও হানা দিয়েছিল পুলিশ। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী আলুর চড়া দামে রাশ টানতে উদ্যোগ নিতে বলেছিলেন প্রশাসনকে। তারপরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। কিন্তু বাজারে আলুর দাম খুব একটা কমেনি। জ্যোতি আলুর দাম কেজি প্রতি ৩১ টাকা। চন্দ্রমুখী আলু খোলাবাজারে বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪০ টাকা দরে।
আলুর দাম লাগামছাড়া হতে শুরু করে লকডাউনের গোড়া থেকেই। অন্যান্য বছর খুব বেশি হলে এসময় আলুর দাম থাকে কেজি প্রতি ২০ থেকে ২২ টাকার মধ্যে। গত বছর আলুর ফলন ছিল যথেষ্ট ভাল। তা সত্তেও দাম এমন ঊর্ধ্বমুখী হওয়া অস্বাভাবিক বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। দীর্ঘ লকডাউনের সময় পণ্য পরিবহণে খানিকটা সমস্যা হয়। তাতেও এত দাম বাড়ার কথা নয়।
অন্যদিকে এই ঘটনায় ছাপোষা গৃহস্থরা পড়েছেন আতান্তরে। যে আলু একসময় নাকি আয়ার্ল্যান্ড থেকে এসেছিল তার রাজত্ব বাঙালি হেঁসেলে পাকা অনেককালই। কী ভাজা, কী সেদ্ধ, কী ঝোল কিম্বা ঝাল, আলুর জয়গান সর্বত্র। এমনকি লখনৌ থেকে ওয়াজেদ আলি শাহ অওয়ধের তাজ খুইয়ে যখন কলকাতাবাসী হন, তার নবাবী হেঁসেলেও বিরিয়ানির সঙ্গী হয় সেই আলু। অন্য সবজির দাম বাড়লে আলু ভরসা হয় বরাবরই। সেই আলুর দাম নাগালের বাইরে চলে যাওয়ার দিশাহারা গৃহস্থ। রাজ্যের আলুর ম্যাপে হুগলির পরেই পূর্ব বর্ধমানের স্থান। সেখানেও আলুর এত দাম। এটা মানতে খুবই কষ্ট হচ্ছে বর্ধমানের মানুষের। সেই সমস্যার খানিকটা লাঘর করতে খুচরো বাজারে অভিযান টাস্ক ফোর্সের।