
রাস্তা ফেরতের দাবিতে অবস্থানে বসা উপাচার্যকে ঘিরে প্রবল ছাত্র বিক্ষোভ বিশ্বভারতীতে
সম্প্রতি শান্তিনিকেতন থেকে শ্রীনিকেতন যাওয়ার রাস্তা রাজ্য সরকার ফেরত নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরই বিরুদ্ধে ছাতিমতলায় অবস্থানে বসে ছাত্র বিক্ষোভের মুখোমুখি হলেন উপাচার্য। বিক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা ছাতিমতলায় ঢুকতে গেলে নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দেয়।। শুরু হয় ধ্বস্তাধস্তি। পড়ুয়াদের বিক্ষোভে উত্তাল হয় এলাকা।
দ্য ওয়াল ব্যুরো, বীরভূম: রাস্তা ইস্যুতে ছাতিমতলায় মৌন অবস্থানে বসে প্রবল ছাত্র বিক্ষোভের মুখে বিশ্বভারতীর উপাচার্য। ‘ভিসি গো ব্যাক’ ধ্বনি তুলে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন পড়ুয়ারা।
সম্প্রতি শান্তিনিকেতন থেকে শ্রীনিকেতন যাওয়ার রাস্তা রাজ্য সরকার ফেরত নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরই বিরুদ্ধে ছাতিমতলায় অবস্থানে বসে ছাত্র বিক্ষোভের মুখোমুখি হলেন উপাচার্য। বিক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা ছাতিমতলায় ঢুকতে গেলে নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দেয়।। শুরু হয় ধ্বস্তাধস্তি। পড়ুয়াদের বিক্ষোভে উত্তাল হয় এলাকা।
নিরাপত্তারক্ষীদের থেকে বাধা পেয়ে মাটিতে বসে পড়ে বিক্ষোভে সামিল হন পড়ুয়ারা। গলায় ছিল কবিগুরুই লেখা ‘বাঁধ ভেঙে দাও’ গানের সূর। হাতে ছিল পোস্টার। পোস্টারে লেখা ছিল, ‘অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে হবে’, ‘ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করে বিশ্বভারতী বাঁচান, তবেই রবীন্দ্রনাথ বাঁচবে’, ‘অধ্যাপক সুদীপ ভট্টাচার্যের সাসপেনশন প্রত্যাহার করতে হবে’, ‘হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসন দিয়ে বিশ্বভারতীর সংস্কৃতি ধ্বংস করা যাবে না।’
এদিন বিক্ষোভে সামিল পড়ুয়ারা ছাতিমতলা থেকে উপাচার্যের বের হওয়ার রাস্তা অবরুদ্ধ করে দেন। উপাচার্যকে অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরতে হয়েছে। অধ্যাপক, কর্মীদের একাংশকে নিয়ে রাস্তা ইস্যুতে মৌন অবস্থানে বসতে গিয়ে এভাবে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়া নিঃসন্দেহে উপাচার্যের কাছে অস্বস্তিদায়ক বলেই মনে করছেন সকলে। এ ব্যাপারে বিশ্বভারতীর কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।
ডিসেম্বর মাসে বোলপুরে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক বৈঠক চলাকালীন তিনি ঘোষণা করেছিলেন বিশ্বভারতীকে দেওয়া কালিসায়ের মোড় থেকে উপাসনা মন্দির পর্যন্ত রাস্তা ফিরিয়ে নেওয়া হবে। তারপরেই উপাসনার গৃহের সামনে বসে যায় বোর্ড। তারপরেই জানুয়ারির গোড়ায় শান্তিনিকেতন দূরদর্শন কেন্দ্রের সামনের রাস্তাটি পাঁচিল দিয়ে ঘেরার কাজ শুরু করেন বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষ। এর ফলে অসুবিধায় পড়েন স্থানীয় সুরশ্রী পল্লি এলাকার বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ডিএম এবং এসপি ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করেন। ঘটনাস্থল থেকে নির্মাণ সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়। এই নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের টানাপড়েন চলছিলই। উপাচার্যের অবস্থান ও তার পাল্টা ছাত্র বিক্ষোভ তাতে নতুন মাত্রা যোগ করল।